হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাবে যে খাবার

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০১ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২২

গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কারণ এ সময় অতিরিক্ত ঘাম হওয়ায় শরীর হয়ে পড়ে পানিশূন্য। এ কারণে যে কোনো স্থানে যে কোনো সময়ই হিট স্ট্রোক হতে পারে।

একদিকে প্রচণ্ড গরমের দাবদাহ, অন্যদিকে শুষ্ক আবহাওয়ায় এখন সবাই ঘেমে নেয়ে একাকার। এখনই হিট স্ট্রোকের বিষয়ে সতর্ক না হলে সমস্যা গুরুতর হতে পারে।

গ্রীষ্মের তাপদাহে অনেকেরই হাঁসফাঁস অবস্থা হয়, এ সময় মুখের ভেতরটাও বারবার শুকিয়ে যায় ও ক্রমাগত ঝিমুনি আসে আবার মাথাও ঘুরে। গরমে এমন অভিজ্ঞতা কমবেশি সবারই হয়।

নিয়মিত এমন চলতে থাকলে জ্ঞান হারানো, বুক ধড়ফড় করা, নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা এমনকি হিট স্ট্রোকও হতে পারে যখন তখন।

এ বিষয়ে ভারতীয় পুষ্টিবিদ রেশমি রায় চৌধুরীর জানান, এসব সমস্যার সূত্রপাত ঘটে শরীরে পানির ঘাটতির কারণে। নিঃশ্বাস, ঘাম, প্রস্রাবের কারণে শরীর হয়ে পড়ে পানিশূন্য। যখন শরীরে এই পানির ঘাটতি শুরু হয় তখনই ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়।

এছাড়া গরমে ঘাম হলে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ঘাটতি হয় সেই থেকেও হতে পারে বিপত্তি। এক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় বেশ কিছু খাবার রাখা জরুরি। তাহলে শরীরে পানির ঘাটতিও মিটবে আবার শরীর থাকবে ঠান্ডা।
আর দেহে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রাও বজায় থাকবে। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ রেশমি রায় চৌধুরী শরীর আর্দ্র রাখতে ৫ খাবারের পরামর্শ দিয়েছেন-

>> গরমে ডাবের পানি পানের বিকল্প নেই এতে পেট ঠান্ডা থাকে। এছাড়া এই পানি পানের করলে শরীরের সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে।

>> আর কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে উঠবে কাঁচা আম। এই ফল শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলো বের করে দেয় সাহায্য করে। এটি শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে।

গরমের দিনে এই ফল খেলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। এ সময় লবণ দিয়ে কাঁচা আম খেতে পারেন। তাছাড়া কাঁচা আম পোড়া শরবত কিংবা কাঁচা আমের চাটনিও শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

>> লাউও শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তবে রান্না করা লাউয়ের তুলনায় কাঁচা লাউয়ের রসের উপকারিতা অনেক বেশি। এজন্য লাউ ব্লেন্ড করে এর রস সামান্য লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয় শরীরকে বেশ ঠান্ডা রাখে, শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে।

>> গরমের এ সময় বিকেলের স্ন্যাকসে খিদে পেলে অঙ্কুরিত মুগ ডালের সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন। এতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম। আবার শরীরের তাপমাত্রাও বাড়ে না, পেট ঠান্ডা থাকে, শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রাও বজায় থাকে।

>> টকদই খুবই উপকরী। এজন্য খাওয়ার পর টকদই খান নিয়মিত। আবার দইয়ের ঘোল কিংবা লাচ্ছিও খেতে পারে। টকদই খেলে হজম ভালো হবে, আর শরীরে পানির চাহিদাও মিটবে।

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।