৫ খাবারেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে থাইরয়েড
থাইরয়েডের সমস্যায় নারী-পুরুষ উভয়ই ভোগেন। বর্তমানে জীবনযাত্রায় অনিয়মের কারণে এ সমস্যায় বেশিরভাগ মানুষই ভুগছেন। একবার থাইরয়েড ধরা পড়লে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ মুশকিল।
থাইরয়েড গ্রন্থির অবস্থান গলায়। প্রজাপতি আকৃতির এই গ্রন্থি শরীরে বেশ কয়েকটি হরমোন উৎপন্ন করে। যা শরীরের অনেক কাজ করে। থাইরয়েড গ্রন্থি যখন অতিরিক্ত হরমোন তৈরি করে তখন তাকে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিজম।
আর যখন থাইরয়েড গ্রন্থি পর্যাপ্ত থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে না, তখন তাকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলে। থাইরয়েড বেড়ে বা কমে যাওয়ার পেছনে মূলত দায়ী কয়েকটি কারণ। যেমন- অগোছালো জীবনযাত্রা, সঠিক পুষ্টি গ্রহণ না করা, মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি।
এছাড়াও শরীরচর্চার অভাবে খুব অল্প বয়সেই অনেকে থাইরয়েডে আক্রান্ত হয়। তবে আপনার দৈনন্দিন ডায়েটে নির্দিষ্ট কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করলে, থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন সহজেই। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
> নারকেল থাইরয়েড রোগীদের জন্য অন্যতম সেরা খাবার। এটি মেটাবলিজম বাড়ায়।
> মুগ ডালে থাকে প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। ফাইবারও বেশি থাকে এই ডালে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে সাহায্য করতে পারে।
এছাড়াও মুগ ডালে থাকে আয়োডিন। তাই থাইরয়েড রোগীরা ডায়েটে মুগ ডাল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
> কুমড়ার বীজকে সুপার ফুড বলেও আখ্যা দেওয়া হয়। এতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাইরয়েড হরমোনের সমন্বয় ও ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।
> ব্রাজিল নাটসও থাইরয়েড রোগীর জন্য খুবই উপকারী। থাইরয়েড হরমোনের বিপাকের জন্য শরীরে সেলেনিয়ামের প্রয়োজন পড়ে। সেলেনিয়াম এক প্রকার মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট।
টি ফোর থেকে টি থ্রি রূপান্তরের জন্য সেলেনিয়াম প্রয়োজন। আর ব্রাজিল নাটস সেলেনিয়ামের প্রাকৃতিক উৎস। দিনে মাত্র তিনটি ব্রাজিল নাটস খেলেই শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও থাইরয়েড মিনারেল সরবরাহ করতে পারে।
> কমলার চেয়েও একটি ছোট্ট আমলকিতে বেশি ভিটামিন সি থাকে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি চুলের জন্যও দারুণ উপকারী আমলকি। নিয়মিত আমলকি খেলে থাইরয়েডের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
জেএমএস/জেআইএম