চন্দন কাঠ পিঠা তৈরির পদ্ধতি
শীতকাল বোধ হয় চলেই গেল! এই শেষ মুহূর্তে সময় নষ্ট না করে যে যার পছন্দসই পিঠা খেয়ে নিন। অনেকেই হয়তো কর্মব্যস্ততার কারণে পিঠা তৈরির সময় পান না। তবে কিছু কিছু মুখোরোচক পিঠা আছে যেগুলো খুব কম সময়েই তৈরি করা যায়।
তেমনই এক পিঠা হলো চন্দন কাঠ পিঠা। কখনো কি এই পিঠা খেয়েছেন? যদি না খেয়ে থাকেন তাহলে ঝটপট শীতের বিকেলে তৈরি করুন বিশেষ এই পিঠা। একবার খেলেই মুখে লেগে থাকবে এর স্বাদ। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক চন্দন কাঠ পিঠা তৈরির সহজ রেসিপি-
উপকরণ
১. পোলাও চাল দেড় কাপ
২. তরল দুধ এক বা দেড় লিটার
৩. ঘি আধা কাপ
৪. গুঁড়া দুধ এক কাপ
৫. নারকেল কোড়া ২ কাপ
৬. চিনি আধা কাপ
৭. গুড় এক কাপ
৮. লবণ সামান্য
৯. কাজু ও পেস্তা বাদাম কুচি আধা কাপ ও
১০. এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ।
পদ্ধতি
সব উপকরণই মোটামুটি আন্দাজমতো নিন। প্রথমে চাল ৩-৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে চালনিতে কিছুক্ষণ রেখে দিন। পানি ঝরানো হলে ব্লেন্ড করে বা পাটায় বেটে আধভাঙা করে নিন।
এরপর চুলায় প্যান বসিয়ে তাতে তরল দুধ গরম করে ভাঙা চাল নারকেল, চিনি ও লবণ দিয়ে নাড়তে হবে। চুলার আঁচ কমিয়ে রাখবেন। এতে চাল ধীরে ধীরে সেদ্ধ হবে। চাল সেদ্ধ হয়ে দুধ শুকিয়ে ঘন ও আঁঠালো হলে গুড় ও বাদাম কুচি দিয়ে নাড়ুন।
আগে গুড় দিলে চাল সেদ্ধ হতে সময় লাগবে। তাই চাল সেদ্ধ হওয়ার পরই গুড় দিতে হবে। গুড় দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নেড়ে আঁঠালো হলে অল্প অল্প করে গুঁড়া দুধ ও এলাচ গুঁড়া দিয়ে নেড়ে নিন।
আবারও কিছুক্ষণ নাড়ার পর অনেকটাই শুকিয়ে হালুয়ার মতো হয়ে আসবে। পিঠার এই মিশ্রণ চুলার উপর রেখে যতটা শুকিয়ে নেওয়া যাবে পিঠা ততই সুন্দর হবে। এরপর যে পাত্রে ঢালবেন তাতে ঘি ব্রাশ করে নিন। তারপর ঢেলে নিন পিঠার মিশ্রণ।
এরপর ভাতের চামচের উল্টো পাশে ঘি ব্রাশ করে পিঠার মিশ্রণ চেপে চেপে চারপাশে সমান করে এক ইঞ্চি পরিমাণ উঁচু করে নিন। এবার পিঠার উপরে বাদাম কুচি ছড়িয়ে হালকা হাতে চেপে দিন।
পিঠা ঠান্ডা হয়ে সেট হওয়ার জন্য রেখে দিন ৪-৫ ঘণ্টা। পিঠা ঠান্ডা হয়ে জমে গেলে চাকু দিয়ে ইচ্ছে মতো আকৃতিতে কেটে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল জিভে জল আনা চন্দন কাঠ পিঠা।
রেসিপি ও ছবি: ঝুমুর’স কিচেন
জেএমএস/এএসএম