ভালোবাসা দিবসে সঙ্গীর কাছে সুস্থ জীবনযাপনের আবদার করুন
আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া, সময় কাটানোর জন্য অন্যতম একটি পছন্দের দিন। এদিন প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার দিন। তবে শুধু উপহার নয়, এই দিনটিতে সঙ্গীর কাছে উপহারের বদলে ভিন্ন কিছুও চাইতে পারেন। আর সেই ভিন্ন কিছুর মধ্যে অন্যতম হতে পারে সুস্থ জীবনযাপনের আবদার।
নিয়মিত শরীরচর্চা, সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া আর পর্যাপ্ত বিশ্রাম- এ তিন অভ্যাসেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি। স্বাস্থ্য সম্পর্কে আপনি যথেষ্ট সচেতন হলেও হতে পারে আপনার সঙ্গী এ বিষয়ে একেবারেই তোয়াক্কা করেন না। এ কারণে ঝগড়া-অশান্তি করে কোনো লাভ নেই। তাই ভালোবাসা দিবসে সঙ্গীর কাছে উপহার নয়, সুস্থ জীবনযাপনের আবদারটুকু করতেই পারেন।
ভাবছেন কীভাবে করবেন সেই আবদার? তা মোটেও কঠিন নয়। এক্ষেত্রে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
আনন্দবাজার ডিজিটাল জানিয়েছে, সঙ্গীর ওপর শরীরচর্চার বোঝা চাপিয়ে দেবেন না। প্রয়োজনে দুজনে একসঙ্গে জিমে ভর্তি হন। একসঙ্গে করলে কোনো কাজই কঠিন মনে হয় না। একা একা শরীরচর্চা করলে অনেক ক্ষেত্রেই কয়েকদিন পর আর জিমে যেতে ইচ্ছে করবে না। ফলে ওজন ঝরানোর স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। পছন্দের মানুষটি সঙ্গে থাকলে উৎসাহ পাওয়া যায়।
আবার দুজনে চাইলে স্বাস্থ্যকর রান্না শেখার ক্লাসে ভর্তি হতে পারেন। তবে অবশ্যই যদি আপনার সঙ্গীর রান্না শেখার প্রতি ঝোঁক থাকে। এ উপায়ে দুজনে বেশ কিছুটা সময় একসঙ্গে কাটাতে পারবেন। পুষ্টিকর খাবার যেমন আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে, তেমনি সম্পর্কও হবে মজবুত।
শরীরচর্চা কিংবা যোগাভ্যাস করলে কেবল শরীর সুস্থ থাকবে এমনটা নয়, এ অভ্যাস আপনার মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়। সঙ্গীকে এ কথাটা ভালো করে বুঝিয়ে বলুন।
খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে পারেন। রেস্তোরাঁর খাবার নয়, বাড়িতেই পুষ্টিকর অথচ সুস্বাদু হবে এমন খাবার তৈরি করুন। তবে একদিনেই সব পরিবর্তন করতে যাবেন না। ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনুন। জীবনে পরিবর্তন আনার সময়টুকু সঙ্গীকে দিতেই হবে।
ডায়েট ও শরীরচর্চার একটি তালিকা তৈরি করতে পারেন। প্রথমেই খুব বেশি শক্ত তালিকা তৈরি করবেন না। সঙ্গী কোনো ভুল করলে তার ভুল না ধরে তাকে উৎসাহ দিন। জীবনযাত্রায় এ পরিবর্তন আনার পর সামান্য সুফল পেলেই তা উদযাপন করুন একসঙ্গে।
এমআইএইচ/ইএ/জেআইএম