প্রি-ডায়াবেটিসের এসব লক্ষণ অবহেলা করছেন না তো?
বর্তমানে ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। জীবনযাত্রায় অনিয়ম এ রোগের মূল কারণ। ছোট-বড় সবাই এ সমস্যায় ভুগছে এখন।
ডায়াবেটিস হলো একটি ক্রনিক অবস্থা। এক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে ইনসুলিন তৈরি না হওয়া বা ইনসুলিন কমে যাওয়ার কারণে যে কেউ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন।
সাধারণত দু’ধরনের ডায়াবেটিস হয়- টাইপ ১ ও টাইপ ২। ছোটবেলায় কারও ডায়াবেটিস হলে তা হলো টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন প্রাপ্ত বয়স্করা।
তবে প্রি-ডায়াবেটিস সম্পর্কে কি কারও ধারণা আছে? আসলে এটি ডায়াবেটিস হওয়ার পূর্ব অবস্থা। এমন ব্যক্তিদের রক্তে শর্করার পরিমাণ খুব বেশি থাকে না, যাকে বলা যায় ডায়াবেটিস।
তবে ভবিষ্যতে এমন ব্যক্তিদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি। তাই তাদেরকে থাকতে হবে সচেতন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিসের এই নির্দিষ্ট অবস্থায় সহজেই রোগ নির্ণয় সম্ভব। এক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা ও জীবনযাপনে পরিবর্তন করলেই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।
প্রি-ডায়াবেটিসের লক্ষণ কী কী?
>> প্রি-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের শরীরে দেখা দিতে পারে ফুসকুড়ি। একেবারে পা থেকে শুরু করে কানে পর্যন্ত দেখা দিতে পারে এ সমস্যা।
>> ডিজিটাল স্কেলেরোসিস দেখা দিতে পারে টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আগে। এক্ষেত্রে ত্বক শক্ত হয়ে যায়। কনুইয়ের ত্বক হয়ে যায় মোমের মতো।
>> ডায়াবেটিস ডার্মোপ্যাথি টাইপ ১ ডায়াবেটিসের আরও এক লক্ষণ। এক্ষেত্রে ত্বকের বিভিন্ন অংশে দেখা দেয় বাদামি রঙের দাগ-ছোপ।
>> যদি কারও পায়ের নীচের দিকে লাল বা হলদেটে ফুসকুড়ি বের হয় তাহলে বুঝতে হবে সেটি নোক্রোবায়োসিস লিপোইডিকা ডায়াবেটিকোরাম। এটি প্রি-ডায়াবেটিসের লক্ষণ।
>> ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পায়ের ছোট ক্ষতও হতে পারে বিপজ্জনক। ডায়াবেটিক ফুটের ক্ষেত্রে পায়ে হয় আলসার বা ক্ষত। এমন কোনো ক্ষত পায়ে দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।
>> হাত-পায়ে পানির ঠোসার মতো হওয়াকে বলে বুলোসিস ডায়াবেটিকোরাম। এক্ষেত্রে কোনো ব্যথা থাকে না। ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি থাকা রোগীদের এই সমস্যা বেশি হতে দেখা যায়।
>> এ ছাড়াও দেখা দিতে পারে- চোখে কম দেখা, দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া, বারবার পানি তৃষ্ণা পাওয়া, অতিরিক্ত মূত্রত্যাগ ও একবারে কেটে গেলে না শুকানো ইত্যাদি লক্ষণ।
এসব লক্ষণ দেখা দিলে আর অপেক্ষা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: মায়োক্লিনিক
জেএমএস/জেআইএম