করোনা রোগীর ঘরে ও বাইরে ভেসে বেড়ায় আরএনএ
করোনা মহামারির শুরু থেকেই ভাইরাসটি নিয়ে একের পর এক গবেষণা চলছে। একেকবার নতুন নতুন তথ্য জানাচ্ছেন গবেষকরা। এবারের গবেষণা বলছে, করোনা আক্রান্তের ঘর ও ঘরের বাইরের বাতাসের কণায় দেখা মিলছে ভাইরাসের আরএনএ।
গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে ‘অ্যানালস অব দ্য আমেরিকান থোরাসিক সোসাইটি জার্নালে’। নতুন এই গবেষণার তথ্যমতে, যেহেতু করোনা আক্রান্তের ঘরে ও ঘরের বাইরে ভেসে বেড়ায় ভাইরাসের আরএনএ, তাই এর মাধ্যমেও সংক্রমণ বাড়ছে।’
এ গবেষণার লেখক ও রুটগার্স স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক হাওয়ার্ড কাইপেন এ বিষয়ে বলেন, ‘করোনা আক্রান্তের মুখ থেকে বের হয় ড্রপলেট। এই ড্রপলেটগুলো বেশ ভারি হওয়ার কারণে দ্রুত নিচে পড়ে যায়। ২ মিটার দূরত্ব রক্ষা, মাস্ক পরা ও হাত ধোয়ার মতো অভ্যাস মেনে চললে এ সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।’
‘অন্যদিকে করোনা আক্রান্তের শ্বাস থেকে বের হয় ছোট ছোট কণা। যা বাতাসে অনেক দূর পর্যন্ত ভেসে বেড়ায়। এই কণায় থাকা ভাইরাসের আরএনএ সহজে নষ্ট হয় না। তাই আপনি যদি ভালো মাস্ক, ভেন্টিলেশন বা এয়ার পিউরিফায়ারই ব্যবহার না করেন তাহলে সহজেই করোনা ভাইরাসের আরএনএ প্রবেশ করতে পারে আপনার শরীরে।’
গবেষকরা এই গবেষণার জন্য যেসব বাড়িতে করোনা রোগী আইসোলেশনে আছেন, তাদের নমুনা পরীক্ষা করেন। এমনই ১১টি বাড়ি থেকে নমুনা গ্রহণ করা হয়। সেসব আক্রান্তের ঘরের পাশেও ছিল একটি ঘর।
এরপর আক্রান্ত ও আক্রান্তের পাশের ঘরের নমুনা নেওয়া হয়। বেশিরভাগ ঘরের বাতাসেই মেলে করোনা ভাইরাসের আরএনএ’র উপস্থিতি।
গবেষক কাইপেন আরও বলেন, ‘সেলফ আইসোলেশনে থাকার পরও রোগীর ঘর ও তার পাশের ঘরের বাতাসে ছোট ছোট কণায় ভেসে বেড়ায় করোনার আরএনএ। তাই আপনাকে সবসময়ই থাকতে হবে সতর্ক।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। না হলে খুব সহেজেই আপনি করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন।
সূত্র: সায়েন্স ডেইলি
জেএমএস/এএসএম