গোলাপের ফেসপ্যাক ব্যবহারেই পাবেন গোলাপি ত্বক!

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৬ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২২

ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়াতে কতজনই না কত কিছু ব্যবহার করেন। তবে রাসায়সনিকযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার না করে সৌন্দর্যচর্চায় ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক উপাদানে। ঠিক তেমনই এক উপাদান হলো গোলাপ। প্রাচীন কাল থেকেই রূপচর্চায় গোলাপ ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

গোলাপ জল তো সবার ঘরেই থাকে! এ ছাড়াও গোলাপের পাপড়ি দিয়ে রূপচর্চা করা হয়। প্রাচীনকাল থেকে এখনো রূপচর্চায় গোলাপ একইভাবেই জনপ্রিয়।

উজ্জ্বল ও দাগহীন ত্বক পেতে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন গোলাপের ফেসপ্যাক। তার আগে জেনে নিন ত্বকের যত্নে গোলাপ কীভাবে কাজ করে-

> ময়েশ্চারাইজার হিসেবে শুষ্ক ও সংবেদনশীল ত্বকের জন্য গোলাপের পাপড়ি দারুণ কাজ করে। গোলাপের পাপড়িতে থাকা প্রাকৃতিক তেল ত্বকের কোষের মধ্যে আর্দ্রতা ধরে রাখে। ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।

> সানস্ক্রিন হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন গোলাপ। চাইলে ঘরেই গোলাপ দিয়ে তৈরি করতে পারেন সানস্ক্রিন।

> কম বেশি সবারই চোখের চারপাশেই কালো ছোপ পড়ে যায়। স্ট্রেস, ক্লান্তি ও অনিদ্রার কারণেই মূলত এই কালো ছাপ পড়ে। ডার্ক সার্কলের সমস্যার সমাধান কতে পারে গোলাপ।

গোলাপের পাপড়ির ফেসপ্যাক তৈরি করবেন যেভাবে-

> গোলাপ ও চন্দনের ফেসপ্যাক তৈরি করতে প্রথমে গোলাপের পাপড়ি বেটে নিন। এর সঙ্গেই দুই টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এরপর গোলাপজল মিশিয়ে দিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করে পুরো মুখে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।

> চাইলে গোলাপের পাপড়ি বেটে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে পরিষ্কার মুখে ভালো করে আধা ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। যাদের তৈলাক্ত ত্বক, তারা এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে লাগান। দেখবেন ত্বকের তৈলাক্তভাব কমবে।

> গোলাপ ও কমলালেবু দিয়েও তৈরি করতে পারেন ফেসপ্যাক। এজন্য গোলাপের পাপড়ি ও কমলালেবুর খোসা কয়েকদিন রোদে রেখে শুকিয়ে নিন। তারপর ভালো করে গুঁড়া করে নিন।

এজন্য এক টেবিল চামচ গোলাপ আর কমলালেবুর খোসার পাউডারের সঙ্গে টকদই শিশিয়ে তৈরি করে নিন ঘন পেস্ট।

মুখে আর গলায় মেখে ব্যবহার করুন এই প্যাক। আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত গোলাপের ফেসপ্যাক ব্যবহারে পাবেন উজ্জ্বল গোলাপি ত্বক।

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।