সাধারণ সর্দি-কাশি নাকি ওমিক্রন বুঝবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৯ এএম, ০৭ জানুয়ারি ২০২২

দেশব্যাপী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নতুন বছরে করোনার নতুন আতঙ্ক হলো ওমিক্রন। করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্ট খুব দ্রুত ছড়ায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, এ সময় সর্দি-কাশিকে সাধারণ ভেবে কেউ যেন ভুল না করে। কারণ সাধারণ সর্দি-কাশিও হতে পারে ওমিক্রনের লক্ষণ।

যদিও বিশেষজ্ঞরা বারবার সবাইকে পরামর্শ দিচ্ছেন সতর্ক থাকার তবুও তা আমলে নিচ্ছেন না কিছু মানুষ। এবার ওমিক্রন বিপদ সম্পর্কে সচেতনতায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে যদিও উপসর্গ মাঝারি।

এক্ষেত্রে মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, শরীরে ব্যথা, হাঁচি-কাশি ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়। আর এসব লক্ষণ ফ্লু’র কারণে ঘটে। এ কারণে অনেকেই ওমিক্রণের লক্ষণ সাধারণ সর্দি-কাশির সঙ্গে মিলিয়ে ফেলছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আরও জানানো হয়েছে, এ ভাইরাস কিন্তু সাধারণ সর্দি-কাশি নয়, তাই একে হালকাভাবে নেওয়া চলবে না।

অন্যদিকে আমেরিকার সিডিসি বা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বলছে, কাশি, মাথা ভার, নাক দিয়ে পানি পড়া, শরীরে ব্যথা ইত্যাদি হলো এই ভাইরাসের প্রধান কয়েকটি লক্ষণ।

এ ছাড়াও ব্রিটেনের একটি গবেষণা বলছে, ওমিক্রনে আক্রান্তদের বমিভাব ও খিদে চলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমনকি গলার স্বরেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রিটেন ও আমেরিকার বিভিন্ন গবেষণা বলছে, এ ভাইরাস খুব সংক্রামক। তবে ওমিক্রন থেকে তেমন বড় সমস্যা খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা গেছে। তাই হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কমছে।

অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভান খিরখোবে সতর্ক করে বলছেন, ওমিক্রন কিন্তু সাধারণ সর্দি-কাশি নয়। তাই সর্দি-কাশি হলেই সতর্ক থাকতে হবে। অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডা. সৌম্যা স্বামীনাথনও এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছেন। তিনি টুইটারে জানান, ওমিক্রন সাধারণ সর্দি-কাশি নয়।

যদিও প্রথমদিকে এর উপসর্গ হালকাভাবে প্রকাশ পাচ্ছে, তবে কিছুদিনের মধ্যেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ পড়বে এর প্রভাবে। আমাদের আরও টেস্ট করতে হবে। রোগীদের নজরে রাখতে হবে। কারণ যে কোনও মুহূর্তে বাড়তে পারে রোগীর সংখ্যা।

বিশেষজ্ঞদের দাবি ও কিছু গবেষণা বলছে, এ ভাইরাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফুসফুসে সংক্রমণ পৌঁছাচ্ছে না। তবে এর থেকে দেখা দিতে পারে ফুসফুসের নিউমোনিয়া।

যা তাৎক্ষণিক প্রকাশ না পেলেও ভবিষ্যতে এর খারাপ প্রভাব শরীরে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। তাই সতর্ক থাকুন সবাই।

সূত্র: ডেক্কান হেরাল্ড/ট্রিবিউন ইন্ডিয়া/ডিএনএ ইন্ডিয়া

জেএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।