করোনা মোকাবিলায় ঘরে যে ৮ সরঞ্জাম রাখা জরুরি

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৭ এএম, ০৬ জানুয়ারি ২০২২

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ২০২১ সালের মতোই ২০২২ সালের সূচনা হয়েছে করোনা আতঙ্কের মধ্য দিয়ে। করোনার নতুন আতঙ্কের নাম ওমিক্রন।

করোনার বিস্তাররোধে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সরকার। পাশাপাশি মাস্ক পরাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে নিজে ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি বিশেষ সচেতনতা প্রয়োজন। এখন করোনা মোকাবিলায় ঘরে কয়েকটি সরঞ্জাম রাখা জরুরি। জেনে নিন কী কী-

১. পালস অক্সিমিটার: করোনা মহামারিকালে পালস অক্সিমিটার সবচেয়ে জরুরি। এই যন্ত্র রক্তে অক্সিজেনে পরিমাণ কত, তাৎক্ষণিক তা জানাতে পারে।

চিকিৎসকের মতে, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৭ এর নীচে নেমে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এ সময় নিয়মিত রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করতে পালস অক্সিমিটার প্রয়োজন।

২. আইআর থার্মোমিটার: শারীরিক সংস্পর্শ ছাড়াই দূর থেকে আইআর থার্মোমিটার ধরলেই শরীরের উষ্ণতা পরিমাপ করা যায়। বিভিন্ন অফিস, প্রতিষ্ঠান এমনকি শপিংমলে প্রবেশের সময় এই যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়।

৩. র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট: এই কিটের সাহায্যে নিজেই ঘরে বসে করোনা পরীক্ষা করা যায়। করোনার কোনো উপসর্গ দেখলেই প্রাথমকভাবে এই কিট ব্যবহার করতে পারেন।

৪. গ্লুকোমিটার: এই যন্ত্র অনেকের ঘরেই আছে নিশ্চয়! ডায়াবেটিস রোগীরা এই যন্ত্র ব্যবহার করেই রক্তে শর্করার পরিমাণ কত তা মাপেন। করোনাকালে নিয়মিত এই যন্ত্র ব্যবহার করা জরুরি।

৫. ইউভি স্টেরিলাইজার: সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহার করা চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতিগুলো জীবাণুমুক্ত রাখে ইউভি স্টেরিলাইজার। যাদের ঘরে করোনা রোগী আছেন, তারা অবশ্যই যন্ত্রটি ঘরে রাখুন।

৬. অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর: করোনা রোগীর শ্বাসকষ্টের সমস্যায় অক্সিজেন জোগাবে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর।

৭. পোর্টেবেল অক্সিজেন ক্যানিস্টার: করোনা সংক্রামিত ব্যাক্তির শ্বাসকষ্টের সমস্যা প্রাথমিকভাবে সমাধান করতে পারে এই মেডিকেল ডিভাইস।

৮. ফিটনেস ব্যান্ড: এই মেডিকেল গ্যাজেটের মাধ্যমে আপনি আপনার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা, হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ ইত্যাদি নজরে রাখতে পারবেন।

সূত্র: ফার্মইসি

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।