রাতে সোয়েটার পরে ঘুমালে কী হয় জানেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৮ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১

দিনের বেলায় রোদের কড়া মেজাজে আবহাওয়া গরম থাকলেও রাতে বেশ ভালোই ঠান্ডা লাগছে। যে কারণে একাধিক কম্বলও গায়ে জড়াচ্ছেন অনেকে। তাতেও যেন কারও কারও শীত মানছে না। বাঙালিরা এমনিতেই একটু শীত কাতুরে হয়। তাই তো ঘুমাতে যাওয়ার আগে সোয়েটার পরেই বিছানায় যাচ্ছেন।

শীতের পোশাকের মধ্য অন্যতম হলো সোয়েটার। ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে বাঁচতে এ সময় সবাই কমবেশি সোয়েটার পরেন। তবে যারা সোয়েটার পরে ঘুমাতে যাচ্ছেন তাদের পড়তে পারেন মারাত্মক সমস্যায়। ভারী পোশাক পরে রাতে ঘুমালে স্বাস্থ্যের একাধিক ক্ষতি হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সোয়েটার পরে ঘুমালে কী কী সমস্যা হতে পারে-

> ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে বাঁচতে ভারী কাপড় পরলেও ঘুমানোর সময় হালকা পোশাক পরুন। উষ্ণতার পরিবর্তনে সংবহনতন্ত্রের নালীর সংকোচন ও প্রসারণ হয়। ভারী সোয়েটার পরে ঘুমালে অনেক সময় খুব দ্রুত বেড়ে যায় শরীরের তাপমাত্রা। বাইরের ঠান্ডার পর আচমকা এই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া সংবহনতন্ত্রের সমস্যা তৈরি করতে পারে। যাদের আগে থেকেই হার্টের সমস্যা আছে তারা রাতে সোয়েটার পরে ঘুমাতে যাবেন না একেবারেই।

jagonews24

> রাতে সোয়েটার পরে ঘুমাতে গেলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এমনিতেই আমাদের দেশে শীতের আবহাওয়া বেশ শুষ্ক থাকে। ফলে অতিরিক্ত শুষ্কতা থেকে এক্সিমার মতো ত্বকের রোগও হতে পারে।

> অতিরিক্ত উষ্ণতা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। সাধারণত সোয়েটার যে ধরনের উপাদানে তৈরি হয় তা তাপমাত্রার রোধ হিসেবে কাজ করে। কাজেই সাধারণ সুতির পোশাকের থেকে অনেক বেশি তাপমাত্রা সংরক্ষিত হয় এতে।

jagonews24

> যারা রাতে মোজা পরে ঘুমান তাদের জন্যও একই কথা। উলের মোজা পরে ঘুমোনোও ভালো অভ্যাস নয়। উল তাপমাত্রা ধরে রাখার জন্য উপযোগী হলেও ঘাম শোষণ করতে পারে না একেবারেই। ফলে পায়ে ঘাম জমে যাওয়ার সমস্যা হয়। এতে পায়ে নানা রকম জীবাণু জন্ম নেয়। যা থেকে হতে পারে নানা চর্মরোগ।

> শিশুদের ক্ষেত্রেও এই অভ্যাস এড়িয়ে চলুন। ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে শিশুদের অনেকেই ঘুমের সময়ও গরম পোশাক পরিয়ে রাখেন। কিন্তু এতে উপকরের বদলে অপকারই হয় বেশি। গরমে ঘেমে শিশুর বুকে ঠান্ডা বসে যেতে পারে।

সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস/ ইন্ডিয়া টুডে

কেএসকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।