সম্পর্কে যেসব লক্ষণ দেখা দিলে ব্রেকআপ করা জরুরি

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২০ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১

ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা বেশ কষ্টের। এজন্য নারী-পুরুষ উভয়েরই অবদান ও আত্মত্যাগ জরুরি। ছোট ছোট বিষয়ে একে অন্যকে ছাড় না দেওয়া, অবিশ্বাস করা কিংবা ক্ষণে ক্ষণে ঝগড়া, এসব কারণে সম্পর্কে ফাটল ধরে। এর ফলে ওই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখলেও তাতে প্রাণ থাকে না।

এমন সম্পর্কে দুজনের একজনও সুখী হতে পারে না। তাই কিছু লক্ষণ আছে, যেগুলো দিনের পর দিন দেখা দিলেই ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। জেনে নিন কোন কোন লক্ষণ ব্রেকআপের ইঙ্গিত দেয়-

জীবনে নেতিবাচক প্রভাব

নতুন সম্পর্কে জড়ালে জীবনে পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়াও বুদ্ধিমানের কাজ। এক্ষেত্রে সম্পর্কে থাকা দুটি মানুষের জীবনেই ঘটে সেই পরিবর্তন।

তবে অনেক সময় দেখা যায়, নতুন সম্পর্কের কারণে পারিবারিক কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এমন সমস্যা লেগে থাকলে আপনি মানসিকভাবে দিশেহারা হয়ে পড়তে পারেন।

তাই আপনাকে বুঝতে হবে, কোথাও একটা সমস্যা আছে। সেই সমস্যার দ্রুত সমাধান করুন। যদি এমন হয় যে, সম্পর্ক শেষ করে দেওয়ার তাহলে তা ই করুন।

প্রতিদিন ঝগড়া

সব দাম্পত্য সম্পর্কেই কিছু না কিছু সমস্যা থাকতে পারে। এ কারণে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে একটানা যদি ঝগড়া লেগেই থাকে, কিংবা দুজন একে অন্যকে মূল্যায়ন না করা হয় তখন বুঝতে হবে আর কিছু করার নেই। এবার সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় চলে এসেছে।

বিশ্বাস না থাকা

একটি সম্পর্ক টিকেই থাকে বিশ্বাসের উপর। তবে অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস চলে যায়। তখন একে অপরের প্রতি জন্মায় সন্দেহ। একবার সম্পর্কে সন্দেহ ঢুকলে তা বের করা বেশ মুশকিল। নিত্যদিন এমন সমস্যার সম্মুখীন হলে ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে পড়ুন।

আকর্ষণে ভাটা পড়া

একটি সম্পর্ক ততদিনই ভালো থাকে যতদিন প্রিয় মানুষটির প্রতি আকর্ষণ থাকে। তবে উপরোক্ত বিভিন্ন সমস্যার দরুন প্রেমের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সেক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে সমস্যা। তখন বেরিয়ে আসতে হবে সম্পর্ক থেকে। এক্ষেত্রে সম্পর্কে থাকার অর্থই হলো নতুন করে সমস্যার জন্ম দেওয়া।

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।