শাশুড়িকে ভয় ও অপছন্দ করা যে ধরনের মানসিক রোগ

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫১ এএম, ২১ নভেম্বর ২০২১

শাশুড়ি ও পুত্রবধূর সম্পর্কে নানা ধরনের টানাপোড়েন থাকে। যদিও সবার ক্ষেত্রে এমনটি ঘটে না। তবে অনেকের ঘরেই শাশুড়ি ও পুত্রবধূর মধ্যে অশান্তি দেখা দেয়। যা মোটেও কাম্য নয়।

আবার অনেক পুত্রবধূ শাশুড়িকে দেখলেই ভয় পান কিংবা রেগে ওঠেন বা অপছন্দ করেন। তবে এ ভয় ও অপছন্দ করা স্বাভাবিক বিষয় নয়। কারণ এটি হতে পারে এক ধরনের ফোবিয়া। আর ফোবিয়া হলো এক ধরনের মানসিক রোগ বা ব্যাধি।

সবারই কোনো না কোনো বিষয়ে ভয় থাকে। কেউ পানিতে নামতে ভয় পান আবার কেউ উঁচুতে দাঁড়াতে ভয় পান, কেউ অন্ধকার ঘরে ঢুকতে ভয় পান।

এমন নানা ধরনের ফোবিয়ার বিভিন্ন নামও আছে। তবে জানেন কি, শাশুড়িকে ভয় পাওয়ারও একটি নাম আছে? এটিও এক ধরনের ফোবিয়া। যাকে বলা হয় ‘পেনথেরাফোবিয়া’।

গ্রিক ভাষায় ‘পেনথেরা’ অর্থ হলো শাশুড়ি। আর ‘ফোবিয়া’ হলো ভয়। শাশুড়িকে দেখে ভয় পাওয়া কিংবা অপছন্দ করার বিষয়টি পেনথেরাফোবিয়া হিসেব চিহ্নিত করা হয়।

এ ধরনের মানসিক রোগ অতীতের যে কোনে ভয় বা লজ্জাজনক ঘটনার কারণে মনে বাসা বাঁধে। আবার সামাজিক কিছু কারণেও কোনো ব্যক্তি ফোবিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন। তেমনই একটি ফোবিয়া হলো পেনথেরাফোবিয়া।

যে কোনো ফোবিয়ার মতোও এই ব্যাধির কিছু ঝুঁকি আছে। এই ফোবিয়া অতিরিক্ত মাত্রায় পৌঁছালে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বাড়তে থাকে। অনেকেই সামাজিকভাবে নিজেকে গুটিয়ে নেন ও লাজুক হয়ে যান।

পেনথেরাফোবিয়ার লক্ষণ হলো-

>> শাশুড়িকে দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়া।
>> ঘাম ঝরতে থাকে।
>> কারও আবার রক্তচাপ বেড়ে যায়।
>> বমিভাব, গা গোলানো, কাঁপুনি, পেট ব্যথা হয় অনেকের।
>> ফোবিয়া অতিরিক্ত অনেকেই হলে শাশুড়ির উপস্থিতিতে কথাও বলতে পারেন না।
>> অজ্ঞান বা মাথা ঘোরা অনুভব করা।
>> শ্বাসরুদ্ধকর অনুভূতি।
>> শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করা বা কথা না বলা।

আপনি কিংবা পরিচিত কারও যদি এমন সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই মনোবিদের পরামর্শ নিন। সেক্ষেত্রে এ ধরনের ফোবিয়া থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে। মেডিকেল নিউজ টুডে’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে কোনো ধরনের ফোবিয়াই নিরাময়যোগ্য। এজন্য সময়মতো রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসা করা জরুরি।

সূত্র: ফিয়ার অব ডট নেট

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।