বিচ্ছেদে পুরুষের কষ্ট বেশি, বলছে গবেষণা

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৮ পিএম, ০৪ নভেম্বর ২০২১

একটি সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া কারও জন্যই সুখকর নয়! তা হোক প্রেমের কিংবা বিয়ের। সম্পর্ক ভেঙে গেলে নারী-পুরুষ দু’জনেরই হয়তো সমান কষ্ট হয়। তবে সম্প্রতি এক গবেষণা বলছে, বিচ্ছেদ ঘটলে নারীর চেয়ে পুরুষরা বেশি কষ্ট পায়।

‘জার্নাল অব সোশ্যাল অ্যান্ড পার্সোনাল রিলেশনশিপে’ প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাটি। ল্যাঙ্কাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নেতৃত্বে মনোবিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক দল এই গবেষণা পরিচালনা করেন।

‘ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেস’ পদ্ধতি ব্যবহার করে ১ লাখ ৮৪ হাজার মানুষের অনলাইন পোস্ট যাচাই করে গবেষণাটি চালানো হয়। এই প্রকল্পের প্রধান গবেষক ডা. রায়ান বয়েড।

বিচ্ছেদে পুরুষের কষ্ট বেশি, বলছে গবেষণা

তিনি বলেন, ‘গবেষণায় লিঙ্গভেদে সম্পর্ক বিষয়ক বিভিন্ন অনলাইন পোস্ট যাচাই করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, পুরুষরা কি সত্যিই নারীদের চেয়ে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কম আবেগী নাকি নারীর চেয়েও পুরুষরা বেশি আবেগী তা যাচাই করা।’

প্রেম, সম্পর্ক ও বিচ্ছেদ নিয়ে করা অনলাইনের বিভিন্ন পোস্ট যাচাই করে গবেষকরা দেখেন, হৃদয়ে ব্যথা, অনুশোচনা, ব্রেকআপ, কান্না ও হৃদয় ভাঙার মতো শব্দগুলো বেশি ব্যবহৃত হয়েছে।

বিচ্ছেদে পুরুষের কষ্ট বেশি, বলছে গবেষণা

আর এই শব্দগুলোর ব্যবহার বেশি পুরুষদের পোস্টে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, নারীরা বিচ্ছেদ নিয়ে তুলনামূলকভাবে কম আলোচনা করে। এসব বিষয় বিবেচনা করেই গবেষকরা জানান, নারীর তুলনায় বিচ্ছেদে বেশি কষ্ট পান পুরুষরা।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, পুরুষরা নিজের বিচ্ছেদের ঘটনা অনলাইনে জানাতে দ্বিধা করেন না। এমনকি তারা আশাহত হলে ওই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য অন্যের কাছে পরামর্শ চান। তবে নারীরা এ বিষয়ে পিছিয়ে আছেন।

বিচ্ছেদে পুরুষের কষ্ট বেশি, বলছে গবেষণা

এ কারণেই ধারণা করা হয়েছে, বিচ্ছেদের পরও নারীরা হয়তো বিষয়টি নিয়ে কম ভাবেন কিংবা পরবর্তী জীবনে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন।

আবার এমনও হতে পারে মান সম্মান হারানোর ভয়ে অনেকেই অনলাইনে প্রেম সংক্রান্ত কিংবা দুঃখ, কষ্ট কিংবা খারাপ লাগা শেয়ার করেন না।

তার মানে এই নয় যে নারীরা আবেগহীন! যদিও এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন গবেষকরা।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।