হেমন্তের সর্দি-কাশি সারাবে ‘বেসন শিরা’
শীত প্রায় চলেই এলো! দিনে গরম পড়লেও রাত থেকেই তামপাত্রা কমতে শুরু করেছে। ভোরে ঠান্ডা অনুভূতি পেতে শুরু করেছেন নিশ্চয়ই! ঋতু পরিবর্তনের এই সময় সর্দি-কাশি, বুকে কফ জমার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই।
হেমন্তের এই মৌসুমে তাপমাত্রার তারতম্যে সর্দি-কাশির সমস্যা ছোট-বড় সবারই হয় কমবেশি। যদিও অনেকেই সর্দি-কাশির সমস্যকে তেমন গুরুত্ব দিতে চান না। তবে এ সমস্যার সঠিক চিকিৎসা করা না হলে বুকে শ্লেষ্মা বা কফ জমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে শ্বাসযন্ত্রে।
সর্দি-কাশির সমস্যা সারাতে এ সময় ভরসা রাখতে পারেন আয়ুর্বেদিক ওষুধে। আর সেই ওষুধ হলো বেসনের শিরা। যা সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগার সমস্যা নিরাময়ে খুবই কার্যকরী।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, আদা, কালো গোল মরিচ, হলুদ ও বেসনে উপস্থিত বিভিন্ন গুনাগুন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা উপাদানসমূহ শরীরে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বা অ্যান্টিভাইরাল হিসেবে কাজ করে। বেসন শিরা খেলে মুহূর্তেই সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ ভাব ও গলা ব্যথা সেরে যাবে।
পাঞ্জাবের এই প্রাচীন টোটকা তৈরিতে প্রয়োজন হয় বেসন, ঘি, দুধ, হলুদ ও কালো গোল মরিচ। হলুদ ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, ঘি ও গুড় শরীরকে গরম রাখে।
এই পানীয় গলা ব্যথা ও ফ্লু’র অন্যান্য উপসর্গ থেকে মুক্তি দেয়। চাইলে চিনি ও গুড় যোগ করেও এই পানীয় আরও সুস্বাদু করতে পারেন। ‘বেসন শিরা’ অনেকটা হালুয়ার মতো খেতে।
অসুস্থ ও দুর্বল শরীরকে মুহূর্তেই চাঙা করে তুলতে সাহায্য করে বেসন। এ ছাড়াও বেসনে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, যা ঠান্ডা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর।
বেসন শিরা তৈরির উপায়
একটি পাত্রে ৩-৪ চামচ ঘি গরম করে সামান্য বেসন ভেজে নিন। বেসনের রং গাঢ় হয়ে এলে এতে দুধ দিয়ে আবারও নাড়তে থাকুন। ৫ মিনিট পর হলুদ ও গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন।
সবশেষে এর মধ্যে সামান্য গুড় দিয়ে হালকা আঁচে আরও ৫-৭ মিনিট নেড়ে নামিয়ে নিন। স্বাদ বাড়াতে বেসন শিরায় সামান্য বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন। গরম থাকতে থাকতেই খেয়ে নিন বেসন শিরা।
সূত্র: এনডিটিভি
জেএমএস/জেআইএম