মেন্থল সিগারেট কতটা ক্ষতিকর জানলে চমকে উঠবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪৩ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২১

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক, এ কথা কমবেশি সবারই জানা। ধূমপান ফুসফুস ক্যানসারের আশঙ্কা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়।

তবে জানেন কি, সাধারণ সিগারেটের তুলনায় মেন্থল সিগারেট আরও বেশি ক্ষতিকর। অনেকেই আছেন মেন্থল সিগারেটে আসক্ত। এমন সিগারেট আপনার কতটা ক্ষতি করছে তা জানলে চমকে উঠবেন।

সম্প্রতি আমেরিকার ‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’র গবেষণায় উঠে এসেছে, সাধারণ সিগারেটের তুলনায় মেন্থলজাতীয় সিগারেট অনেক বেশি ক্ষতিকর। গত বছর ইংল্যান্ডে মেন্থল সিগারেটের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তার কারণও একই।

মেন্থল সিগারেট কতটা ক্ষতিকর জানলে চমকে উঠবেন

কেন এই সিগারেট এতোটা ক্ষতিকর?

মেন্থলজাতীয় সিগারেটের ফিল্টারে এক ধরনের বিশেষ রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। সেটি ধোঁয়ার মাধ্যমে মুখ থেকে গলায় এরপর ফুসফুসে গেলে ঠান্ডাভাব অনুভূত হয়। এটিই সমস্যার কারণ।

‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’র গবেষণায় বলা হয়েছে, কম বয়সীদের মধ্যে মেন্থলজাতীয় সিগারেটে আগ্রহ বেশি। শুধু আমেরিকায় সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, ১৮ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে যারা ধূমপানে আসক্ত তাদের বেশিরভাগই মেন্থল সিগারেট ফুঁকেন।

সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে, পুরো পৃথিবীতেই ৩০ বছরের কম বয়সী ধূমপায়ীদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি (প্রায় ৫৪ শতাংশ) পছন্দ করেন এই মেন্থল সিগারেট। ধূমপান ছাড়তে না পারার কারণও মেন্থল ফ্লেভারের সিগারেট।

মেন্থল সিগারেট কতটা ক্ষতিকর জানলে চমকে উঠবেন

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সিগারেটে থাকা মেন্থলের প্রভাবে মুখ, গলা ও ফুসফুসে ঠান্ডা ভাব অনুভূত হয়। ফলে ধোঁয়া বেশিক্ষণ ভেতরে ধরে রাখার প্রবণতা বাড়ে।

ধোঁয়া বেশিক্ষণ ধরে রাখলে শরীর বেশি মাত্রায় নিকোটিন গ্রহণ করে। ফলে রক্তচাপ বাড়ে। যারা যত বেশি লম্বা টান দেন, তাদের সিগারেটে আসক্তি তত বাড়ে। পরে তা ছাড়া কঠিন হয়ে পড়ে।

চিকিৎসকদের দাবি, মেন্থল সিগারেট সাধারণ সিগারেটের তুলনায় রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ক্যানসারের আশঙ্কাও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়।

সূত্র: ওয়েব এমডি

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।