রাতারাতি মুখের ব্রণ দূর করার কৌশল
মুখের ব্রণ নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকেন। যে কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠানের আগে ত্বকে ব্রণ হলে সৌন্দর্য অনেকখানি ফিঁকে হয়ে যায়! তবে এমন ক্ষেত্রে কীভাবে রাতারাতি ব্রণ দূর করা যায়, তা নিয়ে অনেকেই গবেষণা করতে বসে পড়েন ইন্টারনেটে।
আবার কেউ কেউ ধৈর্য না ধরে ফাটিয়ে ফেলেন ব্রণ। এতে আক্রান্ত স্থান আরও ফুলে যায়। ব্রণ ফাটানোর পরে রক্ত বেরিয়ে কিছুদিন পর ফোলাভাব ঠিকই কমে যায়; তবে দাগ বসে যায় মুখে। তাহলে কী করে ব্রণ দূর করা যায় রাতারাতি?
এক্ষেত্রে বেনজয়েল পারোক্সাইড, সালফার, টি-ট্রি অয়েল বা স্যালিসিলিক অ্যাসিডের ওপর ভরসা রাখতে পারেন। যারা ব্রণের সমস্যায় ভোগেন তারা এগুলোর মধ্যে কোনো একটি ঘরে রাখতে পারেন।
টি-ট্রি অয়েল বা স্যালিসিলিক অ্যাসিড আছে এমন কোনো ক্রিম ব্রণে সারারাত লাগিয়ে রাখলে পরের দিন অনেকটাই ঠিক হয়ে যায় ব্রণ।
রাতারাতি ব্রণ কমাতে প্রথমে ফেসওয়াশ দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। তারপর একটি পাতলা কাপড়ে বরফ মুড়ে ব্রণের উপর সেঁক দিন। এতে ব্রণের ফোলাভাব কমে যাবে।
তারপর টি-ট্রি অয়েল, স্যালিসিলিক অ্যাসিড বা বেনজয়েল পারোক্সাইড আঙুলে ঠিক ব্রণের উপর লাগিয়ে নিন। এভাবে সারারাত রাখলেই ব্রণ কমে যাবে।
এছাড়াও কয়েকটি ঘরোয়া টোটকার সাহায্যেও ব্রণ রাতারাতি দূর করতে পারবেন। জেনে নিন কৌশল-
>> বাড়িতে অ্যাসপিরিন থাকলে ট্যাবলেট নিয়ে গুঁড়া করে পেস্ট তৈরি করে ব্রণে লাগিয়ে রাখুন সারারাত। লালচেভাব কমে যাবে এক রাতেই।
>> টুথপেস্টও ব্রণ সারাতে কাজ করে। ব্রণে এটি লাগালে ফোলাভাব কমে যায় কয়েক ঘণ্টাতেই। তবে জেল টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন না।
>> গরম পানিতে তুলা ভিজিয়ে ভাপ দিলেও ব্রণের ফোলাভাব কমে যায়। এমনকি ব্রণ থেকে ত্বকের অন্যান্য সংক্রমণের আশঙ্কাও কমে।
>> পাশাপাশি ব্রণ বের হলে তেল, মশলা ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
>> বেশি করে পানি খেতে হবে। যাতে শরীরের ভেতরের সব বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়।
জেএমএস/জেআইএম