কাঁচা মরিচ দিয়ে টকদই তৈরির উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২০ পিএম, ০৬ অক্টোবর ২০২১

টকদইয়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সবারই কমবেশি ধারণা আছে। অন্ত্রের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করে টকদই। ফলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও পেটের যাবতীয় রোগ থেকে মুক্তি মেলে।

এছাড়াও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সমাধান করে টকদই। ওজন কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই তো স্বাস্থ্য সচেতনরা নিয়মিত টকদই খান।

দই হলো এক ধরনের দুগ্ধজাত খাদ্য যা দুধের ব্যাক্টেরিয়ার গাঁজন হতে প্রস্তুত করা হয়। ল্যাকটোজের গাঁজনের মাধ্যমে ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি করা হয়।

যা দুধের প্রোটিনের ওপর কাজ করে দইয়ের স্বাদ ও এর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গন্ধ প্রদান করে। জানলে অবাক হবেন, মানুষ সাড়ে ৪০০০ বছর ধরে দই প্রস্তুত করছে ও খেয়ে আসছে।

jagonews24

টকদইয়ে থাকে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, ভিটামিন বি ৬ ও ভিটামিন বি ১২। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধের চেয়েও বেশি পুষ্টিসমৃদ্ধ হলো টকদই।

তবে বাজারে যেসব টকদই পাওয়া যায় তা বেশ ব্যয়বহুল। তাই অনেকেই নিয়মিত টকদই কিনে খেতে পারেন না। চাইলে তারা ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন টকদই।

তাও আবার কোনো উপকরণ ছাড়াই। অর্থাৎ রান্নাঘরে থাকা কাঁচা মরিচ দিয়ে তৈরি করতে পারবেন টকদই।

অবাক করা হলেও সত্যিই খুব সহজে ঘরে তৈরি করতে পারবেন টকদই। আসলে কাঁচা মরিচের বোটায় এমন এক ধরনের এনজাইম থাকে, যা দই তৈরিতে উপকারী।

jagonews24

কাঁচা মরিচ ছাড়াও আপনি এর কয়েকটি বোটা দিয়েও ঘরোয়া উপায়ে ঝামেলা ছাড়াই তৈরি করতে পারবেন টকদই। জেনে নিন টকদই তৈরির রেসিপি-

এজন্য প্রথমে পরিমাণমতো দুধ ভালো করে জ্বাল দিয়ে নিন। তারপর ঠান্ডা করে একটি মাটির, স্টিলের বা চিনামাটির পাত্র নিন।

এবার এর মধ্যে দুধ ঢেলে তার মধ্যে ৩-৪টি কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন। চাইলে কাঁচা মরিচের ৫-৬টি বোঁটাও দিতে পারেন।

এবার পাত্রের মুখ ঢেকে তোয়ালে জড়িয়ে তা একটি গরম স্থানে রেখে দিন। প্রায় ১২-১৪ ঘণ্টা পাত্রটি ঢেকে রেখে দিন। ফ্রিজে রাখবেন না।

নির্দিষ্ট সময় পর পাত্রটি তোয়ালে থেকে বের করে ঢাকনা খুলে দেখুন। দেখবেন টকদই তৈরি হয়ে গেছে। এবার ফ্রিজে কিছুদিন সংরক্ষণ করে খেতে পারবেন স্বাস্থ্যকর টকদই।

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।