পা দেখে বুঝে নিন কোলেস্টেরলের মাত্রা মারাত্মক কি না

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৫ এএম, ০৬ অক্টোবর ২০২১

কোলেস্টেরল ভালো ও খারাপ দু’ধরনেরই হয়ে থাকে। একদিকে ভালো কোলেস্টেরল শরীরের উপকার করে, অন্যদিকে খারাপ কোলেস্টেরল শরীরে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে।

যখন খারাপ কোলেস্টেরল শরীরে বৃদ্ধি পায় তখন ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমতে শুরু করে। এটি ঘটলে তখন সেই ব্যক্তির হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যদি অস্বাস্থ্যকর চর্বির পরিমাণ বেশি হয় সেক্ষেত্রে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায়। যদি নিয়মিত শরীরচর্চা করা না হয় তাহলে এর পরিমাণ বেড়ে যায়। যা মারাত্ম বিপদের কারণ হতে পারে।

কোলেস্টেরল আসলে কী? মোমের মতো এক ধরনের ফ্যাটি পদার্থ। এটি তৈরি হয় লিভার থেকে। লাইপোপ্রোটিনের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে পড়ে কোলেস্টেরল।

স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে হরমোন নিয়ন্ত্রণ ও নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে কোলেস্টেরল। শরীরে প্রোটিনের অভাব ও চর্বির পরিমাণ বেড়ে গেলে তা কোলেস্টেরলের সঙ্গে মিশে ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ বা এলডিএল হয়ে যায়। তখনই কোলেস্টেরল শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে।

তবে অনেকেই তা বুঝতে পারেন না। কারণ কোলেস্টেরলের মাত্রা অত্যাধিক নো বাড়লে শরীরে কোনো রকম লক্ষণই দেখা দেয় না। এ কারণেই নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করিয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রার উপর নজর রাখা জরুরি।

পা দেখে কীভাবে কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা যায়?

কোলেস্টেরল খুব বেড়ে গেলে পায়ের টেন্ডন লিগামেন্টগুলোতে প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রে পায়ের ধমনীগুলো সরু হয়ে যায়। ফলে পায়ের নীচের অংশে অক্সিজেনসহ রক্তও পৌঁছাতে পারে না।

এ কারণে পা ভারী হয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। একইসঙ্গে পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা ও যন্ত্রণা হতে পারে। এমনকি উরু বা পায়ের হাঁটুর নীচে পেছনের দিকে ব্যথা হতে পারে।

হাঁটার সময় এ ধরনের ব্যথা বেড়ে যায়। অল্প দূরত্ব হাঁটলেও এই ব্যথা হতে পারে। তাই এমন লক্ষণ দেখলে সাবধান হওয়া জরুরি।

এছাড়াও ঘুমের মধ্যে পায়ের পাতায় বা আঙুলে হঠাৎ টান ধরায়াও উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে। রাতে এ ধরনের সমস্যা বেশি হয়।

পা নীচের দিকে ঝুলিয়ে রাখলে রক্ত চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে। তাতে পায়ের টান ধরার যন্ত্রণা কমতে পারে।

রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না হলে পায়ের আঙুলের রঙেও বদল আসতে পারে। পায়ের নখের রং বদলে গেলেও সতর্ক হতে হবে।

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।