অতিরিক্ত খাওয়া মোটা হওয়ার কারণ নয়! বলছে সমীক্ষা

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৪ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
ছবি - শাটারস্টক

বিশ্বজুড়ে স্থূলতা একটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ৫০ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন। যা অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ মারাত্মক সব রোগের কারণ।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সবাইকে স্বাভাবিক ওজন ধরে রাখার পরামর্শ দেন। এজন্য প্রয়োজন সুষম খাদ্য ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা। একমাত্র জীবনধারায় পরিবর্তন আনার মাধ্যমেই স্থূলতা থেকে মুক্তি মেলে।

বর্তমানে অনেকেই ওজন কমানোর রেসে দৌড়াচ্ছেন। কেউ কেউ মেপে খাচ্ছেন কেউবা না খেয়ে থাকছেন। তবে তারা কতটুকু লাভবান হচ্ছেন?

অতিরিক্ত খাওয়ার কারণেই মানুষ মুটিয়ে যায়, এমনই ধারণা সবার। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, আপনি কতটুকু খাচ্ছেন তার সঙ্গে মুটিয়ে যাওয়ার সম্পর্ক নেই। তাহলে?

আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিকাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত নতুন গবেষণায় কার্যকর ওজন কমানোর জন্য একটি বিকল্প পদ্ধতির কথা তুলে ধরা হয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, ওজন বৃদ্ধি বা স্থূলতা আপনি কতটা খাবেন তার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। বরং এটি নির্ভর করে আপনি কী ধরনের খাবার গ্রহণ করছেন তার উপর।

গবেষকরা আরও বলেন, করোনাকালে স্থূলতার সমস্যা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। কারণ মহামারির এ সময় খাদ্যাভ্যাসে ও জীবনধারায় পরিবর্তন এসেছে সবার মাঝেই।

গবেষণায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে, বর্তমানে সবাই এমন কিছু খাবারে আসক্ত হয়ে পড়েছে যাতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি, প্রক্রিয়াজাত ও কার্বস/স্টার্চে পরিপূর্ণ। এসব খাবার আমাদের বিপাক হার কমিয়ে দেয়। ফলে শরীরে চর্বি জমে ও ওজন বেড়ে যায়।

বোস্টন শিশু হাসপাতালের অ্যান্ডোক্রিনোলজিস্ট ও হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক ড. ডেভিড লুডভিগের মতে, কম চর্বিযুক্ত খাবার দ্রুত খাদ্য হজমযোগ্য কার্বোহাইড্রেটের ব্যবহার কমিয়ে আনে।

যা শরীরের চর্বি সংরক্ষণের অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়াকে কমিয়ে দেয়। এতে ক্ষুধা কমে যায় ও দ্রুত ওজন কমতে শুরু করে। তাই কতটুকু খাচ্ছেন তা পরিমাপ না করে বরং কী খাচ্ছেন তার উপর নজর রাখুন।

সূত্র: এনডিটিভি

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।