করোনামুক্তির পর যেভাবে বাড়ছে কিডনির সমস্যা

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫২ এএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

করোনা পরবর্তীতে শারীরিক নানা সমস্যা অনেক রোগীই ভুগছেন। কারও দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট, কারও আবার জয়েন্টে ব্যথা, চুল পড়ে যাওয়া, গন্ধ ফিরে না পাওয়াসহ নানা ধরনের পোস্ট কোভিড উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।

এ কারণে করোনা থেকে সেরে ওঠার পর রোগীকে খুব সাবধানে থাকার নির্দেশ দেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি জানা গেছে, করোনা পরবর্তী সময়ে রোগীদের কিডনির সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এমনকি এরই মধ্যে করোনায় ভুগেছেন, এমন মানুষেরও কিডনির সমস্যা বেড়েছে বহুগুণ।

সম্প্রতি আমেরিকার সোসাইটি অব নেফ্রোলজি থেকে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, প্রতি ১০ হাজার রোগীর মধ্যে অন্তত ৮ জন কিডনির সমস্যা এতোটাই বেড়েছে যে নিয়মিত তাদের ডায়ালিসিস নিতে হচ্ছে।

এমনকি কারও কারও ক্ষেত্রে কিডনি প্রতিস্থাপন করা ছাড়া উপায় নেই। করোনাকালীন সময়ে প্রচুর ওষুধ খাওয়ার কারণেই বাড়ছে কিডনির সমস্যা- এমনই মত গবেষকদের।

কিডনির কাজ হলো রক্তকে পরিশোধন করে শরীরের অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেওয়া। বর্জ্য বের করে দেওয়ার ক্ষেত্রেই যদি গুরুতর সমস্যা তৈরি হয়, তাহলে শরীরে আরও নানা ক্ষতির সৃষ্টি হয়।

tipss

কিডনি ভালো রাখার উপায়?

>> প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে। যেমন- পানি, ফলের রস, লাচ্ছি ইত্যাদি খেয়ে শরীরকে যতটা সম্ভব আর্দ্র রাখতে হবে।

>> নিয়মিত ব্লাড প্রেশার পরিমাপ করতে হবে। রক্তচাপের সমস্যা থাক বা না থাক, প্রতি সপ্তাহে বা ১৫ দিন অন্তর ব্লাড প্রেশার চেকআপ করাতে হবে।

>> প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রাখুন। বেশি তেল, মসলা দেওয়া খাবার না খেয়ে ঘরে তৈরি পুষ্টিকর খাবার খান।

>> পাশাপাশি শারীরচর্চার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শরীরের ওজন যত বেশি হবে ব্লাড প্রেশারও ততই বেড়ে যেতে পারে। এতে কিডনির উপর চাপ পড়বে।

কিডনি রোগীর যত্ন

করোনা থেকে সেরে ওঠার পর শরীর প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। করোনা পরবর্তী সময়ে নিয়মিত রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও ফুসফুস পরীক্ষা করাতে হবে। পাশাপাশি পুরো শরীরের চেকআপ করা প্রয়োজন।

সূত্র: মেডিসিন/এনডিটিভি

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।