মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধের ৩ উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৬ এএম, ৩১ আগস্ট ২০২১

অনেকেরই মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে থাকে। একইসঙ্গে কিছু খেতে গেলে মাড়িতে ব্যাথা লাগা ও যন্ত্রণা করার মতো সমস্যায় দেখা দেয়। দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে এসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

দাঁত বা মাড়ির সমস্যায় কমবেশি সবাই ভুগে থাকেন। তবে এসব সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে পরে তা মারাত্মক হতে পারে। দাঁত বা মাড়ির যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

jagonews24

পাশাপাশি ঘরোয়া ৩ উপায়েও মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে পারেন। শুধু মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধেই নয় বরং দাঁতের যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি মিলবে কয়েকটি ভেষজ উপাদানে-

হলুদ

হলুদে থাকে অ্যান্টি ফাঙ্গাল, অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যসমূহ। এতে আরও আছে কারকিউমিন নামক বিশেষ এক উপাদান। যা মাড়ি থেকে প্লাক, ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন সক্রমণ থেকে বাঁচায়।

jagonews24

মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধে এক চামচ হলুদের গুঁড়া, আধা চা চামচ লবণ ও আধা চা চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি দাঁত ও মাড়ির গোঁড়ায় লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। দিনে ২-৩ বার হলুদের মিশ্রণ লাগালেই মাড়ির সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

টি ট্রি অয়েল

টি ট্রি অয়েলেও আছে অ্যান্টিৃসেপকটিক বৈশিষ্ট্য। দাঁত ও মাড়ির সংক্রমণ রোধে দুর্দান্ত কার্যকরী এই তেল। মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধে এক চামচ নারকেল তেল ও ২-৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে মাড়ির গোঁড়ায় লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন।

jagonews24

এরপর ৫-১০ মিনিট রেখে ভালো করে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নিন। দিনে অন্তত ২ বার এটি করলেই মাড়ির যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

মধু

মধুর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সবারেই কমবেশি জানা আছে। মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধে কাজে লাগাতে পারেন মধু। মধুতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যসমূহ আছে। যা দাঁত ও মাড়ির প্লাক বা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।

jagonews24

এজন্য এক চামচ মধু মাড়িতে নিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত ফল পেতে প্রতিদিন অন্তত ২ বার করে মধু মাড়িতে ব্যবহার করুন।

সূত্র: এনডিটিভি

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।