ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা কমাতে যেসব খাবার খাবেন না

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৪ এএম, ০৯ আগস্ট ২০২১

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের স্তর বৃদ্ধি পেলে গাউট রোগ দেখা দেয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে গাঁটে ব্যাথা, ফোলা ভাব এবং উঠতে-বসতে অসুবিধা হয়ে থাকে।

ইউরিক অ্যাসিড কী?

ইউরিক অ্যাসিড এক ধরনের কেমিকেল। যা পিউরিন নামক প্রোটিন ভেঙে উৎপন্ন হয়। ইউরিক অ্যাসিড কিডনি দ্বারা পরিশোধিত হয়। এরপর প্রস্রাবের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে যায়। তবে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে, কিডনি প্রভাবিত হয়।

jagonews24

ইউরিক অ্যাসিড কেন হয়?

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং খাদ্যাভাসের কারণেই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় বেশি ভুগে থাকেন সবাই। পরিসংখ্যান মতে, বিশ্বের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন। প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ইউরিক এসিডে গাঁটের ব্যথায় শয্যাশায়ী হয়ে দিন কাটাচ্ছেন।

ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টলের মতো ভেঙে গিয়ে হাড়ের মাঝখানে জড়ো হয়। যার কারণে গাঁটে ব্যাথা ও ফোলাভাব দেখা দেয়। এ সমস্যা বৃদ্ধি পেলে হার্ট অ্যাটাক, মাল্টিপল অর্গ্যান ফেলিওরসহ কিডনি ফেলিওরের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

jagonews24

চিকিৎসা ও নিয়মিত ওষুধ গ্রহণের পাশাপাশি হাই ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা জরুরি। এমন কিছু খাদ্য আছে, যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

এর ফলে রোগীরা গাঁটে ব্যাথা, ফুলে যাওয়ার সমস্যায় বেশি ভুগে থাকেন। যদি নিয়মিত আপনি ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগে থাকেন; তাহলে অবশ্যই খাদ্যতালিকা থেকে বেশ কিছু খাবার বাদ দেওয়া জরুরি। জেনে নিন কোন খাবারগুলো খাবেন না-

jagonews24

>> গাউটের রোগীরা বেশ কয়েক প্রকার ডাল ও বিনস খাবেন না। যেমন- দেশি ছোলা, কুলথী বা হর্স গ্রাম, রাজমা, কাবুলি ছোলা ইত্যাদি নিজের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন। এই খাদ্যদ্রব্যগুলো শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

>> যারা হাই ইউরিক এসিডে ভুগছেন; তারা সবার আগে পিউরিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এই পিউরিন ভেঙেই শরীরে ইউরিক অ্যাসিড সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে মাছ ও মাংস খাবেন না।

jagonews24

>> সেইসঙ্গে দই, ভিনেগার, ঘোল, মদ্যপানও এড়িয়ে চলুন। দইয়ে উপস্থিত ট্রান্স ফ্যাট শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই দই বা দইজাতীয় কোনো খাবার না-খাওয়াই ভালো।

>> মিষ্টি খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে খাদ্যতালিকা থেকে। সেইসঙ্গে সব ধরনের কোমল পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ড্রিঙ্কসে উপস্থিত ফ্রুক্টোজ পিউরিনের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। সেইসঙ্গে মিষ্টি খাবার ওজন বৃদ্ধি করে। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়।

সূত্র: ওয়েবএমডি

জেএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।