করোনা ছাড়াও যে ভিটামিনের অভাবে হারাতে পারেন স্বাদ-গন্ধ
অডিও শুনুন
করোনা আক্রান্ত হয়ে অনেকেই স্বাদ-গন্ধ হারিয়েছেন। করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পরও অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা ভুগতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু করোনা নয়, নির্দিষ্ট ভিটামিনের অভাবেও স্বাদ-গন্ধ হারাতে পারেন। মানবদেহকে সুস্থ রাখতে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদির সঠিক সামঞ্জস্য প্রয়োজন। ভিটামিনের আবার অনেক ভাগ আছে।
ভিটামিন এ, বি, সি, ডি, ই সহ আরও অনেকে আছে। এরই মধ্যে আবার ভিটামিন বি ১২ আছে। ভিটামিন বি-এর আটটি ভাগের মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন। শরীরে এর অভাব দেখা দিলে শরীর ক্রমশ অসুস্থ হতে পারে। এই ভিটামিনের অভাবেই বয়স্কদের মধ্যে হাঁটা-চলা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, সংবেদনশীলতা হারিয়ে যাওয়াসহ ত্বকের রং হলুদ হয়ে যেতে পারে।
যে কারণে ভিটামিন বি ১২ এর এর ঘাটতি হয়
বিভিন্ন কারণে শরীরে এই ভিটামিনের অভাব দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে দুটি অন্যতম কারণ হলো নিরামিষ খাবার এবং ওজন কমানোর চেষ্টা করা। শাক-সবজি থেকে ভিটামিন বি ১২ পাওয়া যায় না।
ডিম, মাংস, পোল্ট্রির খাবার, দুগ্ধজাত খাবার এবং প্রাণীর দেহ থেকে এই ভিটামিন সংগৃহীত হয়। সে কারণেই ভেগান বা নিরামিষাশীদের শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি দেখা দেয়। আবার যারা ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ডায়েট করে থাকেন; তাদের শরীরেও এই ভিটামিনের ঘাটতি দেখা যায়।
শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি বুঝবেন যেসব লক্ষণে
>> ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি হলে গাঁটে গাঁটে ব্যথা, সংবেদনশীলতা হারিয়ে যাওয়া, ত্বকের রং হলুদ হয়ে যাওয়া বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা যায়।
>> সেইসঙ্গে দেখা দিতে পারে হতাশা, বিড়ম্বনা, বিভ্রান্তি, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, অসংলগ্নতা, স্বাদ এবং গন্ধের ক্ষতি সহ বেশ কয়েকটি সমস্যা।
>> এ ছাড়াও হাত-পা কাঁপা, অসাড়তার মতো সমস্যাও হয়।
>> হাঁটা-চলায় সমস্যা হতে পাপরে। হাঁটার সময় ব্যালেন্স হারিয়ে যায়।
>> রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া, জিভে ফোলাভাব এবং জ্বলুনি দেখা দেয়। শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
>> রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সম্ভব। রোগ তাড়াতাড়ি ধরা পড়লে স্নায়বিক এবং রক্তের রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
ভিটামিন বি ১২ ঘাটতি মেটাতে করণীয়
>> চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। মাল্টিভিটামিন থেকেও ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি মেটানো সম্ভব।
>> ডিম, মাংস, পোল্ট্রির খাবার, দুগ্ধজাত খাবার এবং প্রাণীজাত খাদ্য ভিটামিন বি ১২ ঘাটতি পূরণ করে।
সূত্র: ওয়েব এমডি
জেএমএস/এমএস