মোজায় পেঁয়াজ রাখলে সত্যিই কি সারে সর্দি-কাশি?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০৪ এএম, ১৬ জুন ২০২১

প্রাকৃতিক বিভিন্ন ধরনের ভেষজ জ্বর, সর্দি-কাশি থেকে বাঁচায়। তেমনই এক উপাদান হলো পেঁয়াজ। সবার রান্নাঘরেই এ উপাদানটি থাকে। শুধু নানা পদের স্বাদ বৃদ্ধিতেই নয়; বরং সুস্বাস্থ্যের পক্ষেও উপযোগী পেঁয়াজ। এমনকি নানা ধরনের অসুস্থতার সঙ্গে লড়তে পেঁয়াজ সাহায্য করে থাকে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরের ইমিউন সিস্টেমটি উন্নত করতে পেঁয়াজ অনেক কার্যকরী। এজন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পেঁয়াজ রাখার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। পেঁয়াজের ফ্ল্যাভোনয়েড ক্যানসারসহ প্রদাহজনিত রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।

এছাড়া পেঁয়াজে থাকে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। ২০১০ সালের এক গবেষণা অনুযায়ী, পেঁয়াজ-রসুনে পাওয়া অর্গানসালফার যৌগগুলো নিয়মিত সেবনও হৃদরোগ সংক্রান্ত রোগের বিকাশকে প্রতিরোধ করতে পারে।

অনেকেই জ্বর, সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পেতে পায়ের তলায় পেঁয়াজের টুকরো বেঁধে রাখেন কিংবা মোজার ভেতরে পেঁয়াজের টুকরো রাখেন। তবে আদৌ কি এই পদ্ধতি জ্বর, সর্দি, কাশি কমাতে পারে?

বিশেষজ্ঞদের মতে, পায়ের তলায় পেঁয়াজ বেঁধে রাখা বা মোজায় পেঁয়াজ রাখার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এটি একটি বহু পুরোনো প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা। যার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ভারতের হেলথ ও নিউট্রিশন লাইফের কোচ, ভূমিকা মুখার্জী জানান, পেঁয়াজে থাকা সালফারে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য আছে। এটি ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে পারে।

তবে এই উপকার পেতে হলে পেঁয়াজ খেতে হবে, শরীরে বেঁধে রাখলে হবে না। এই ধরনের দাবির কোনো যুক্তি নেই। তাই মোজার ভেতর পেঁয়াজ রাখার মতো অপ্রমাণিত। অবৈজ্ঞানিক এসব বিষয় বিশ্বাস না করে পেঁয়াজ খাওয়াই ভালো।

দ্য ন্যাশনাল ওনিয়ন আসোসিয়েশনের ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, মধ্যযুগে বিউবনিক প্লেগ রোগটির উপসর্গও ছিল জ্বর, সর্দি ও কাশি। তখন থেকে চলে আসা এই অতিকথার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

**সংশোধনী: ‘বর্ষায় সর্দি-কাশি থেকে বাঁচাবে পেঁয়াজ’ শিরোনামে প্রকাশিত নিউজটির কিছু তথ্য বিজ্ঞানসম্মত নয় বলে প্রতীয়মান হওয়ায় সংশোধন করা হলো।

সূত্র: থিপ.মিডিয়া

জেএমএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।