কখন লিচু খাওয়া বিপজ্জনক?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩০ পিএম, ২৬ মে ২০২১

লিচু খেতে ছোট-বড় সবাই পছন্দ করে। এতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স আছে। স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী লিচু। এ ছাড়াও লিচুতে আছে ফাইবার, ফ্যাট, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট। এগুলো সবই আমাদের বিপাকক্রিয়া উন্নত করে।

তবে লিচু অনেক সময় স্বস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ লিচুতে আছে টক্সিন উপাদান, যা গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর জন্য দায়ী। এমন অনেক ঘটনার কথা জেনে থাকবেন নিশ্চয়ই!

jagonews24

২০১৪ সালে, বিহারের মুজাফফরপুরে ১২২ শিশু লিচু খেয়ে জ্বর ও খিঁচুনিতে মারা গিয়েছিল। এরপর পরীক্ষা করে দেখা যায়, শিশুদের শরীরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কম ছিল।

অন্যদিকে লিচুতে থাকা টক্সিন হাইপোগ্লাইসিন এ এবং মিথাইলিন-সাইক্লো-প্রোপাইল-গ্লাইসিন (এমসিপিজি), (যা কাঁচা বা আধা-পাকা লিচুতে থাকে), এই টক্সিন উপাদান শিশুর প্রস্রাবে পাওয়া গিয়েছিল। কাঁচা লিচু খাওয়ার ফলে বিষক্রিয়া ঘটে মৃত্যু হতে পারে।

টক্সিন হাইপোগ্লাইসিন এ এবং মেথিলিনেসাইক্লোপ্রোপাইল-গ্লাইসিন (এমসিপিজি) গ্রহণ করলে, বমি বমিভাব হতে পারে। তাই যাদের শরীরে পুষ্টির অভাব আছে, তারা খালি পেটে কাঁচা বা আধা পাকা লিচু খেলে মারাও যেতে পারেন!

jagonews24

গবেষণায় দেখা গেছে, হাইপোগ্লাইসিন এ সাধারণত কাঁচা বা আধা পাকা অর্থাৎ পাকা নয়, এমন লিচুতে পাওয়া যায়। এটি একটি অ্যামিনো অ্যাসিড, যা মারাত্মক বমি বমিভাব সৃষ্টি করে।

অন্যদিকে মিথাইলিন-সাইক্লো-প্রোপাইল-গ্লাইসিন (এমসিপিজি) উপাদানটি গ্রহণের ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত কমে যায়। এর ফলে বমি, অচেতন এবং দূর্বল হলে পড়ে রোগী। অনেক রোগীরা কোমায় চলে যায় আবার অনেকেই মৃত্যুবরণ করেন।

jagonews24

২০১৫ সালে মার্কিন গবেষকরা জানান, ফলে থাকা এমসিপিএ নামক একটি বিষাক্ত পদার্থে গ্রহণের মাধ্যমে মস্তিষ্কের রোগ (এইএস) হতে পারে। গবেষকদের মতে, শুধু লিচুতেই এই বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া যায়।

তাহলে বিপদ এড়িয়ে লিচু খাওয়া উপায় কী?

jagonews24

পাকা লিচু খেলে কোনো সমস্যা নেই। তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না-এমনই মত বিশেষজ্ঞদের। তবে খালি পেটে কখনোই সবুজ বা আধা পাকা লিচু খাবেন না। এতে মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে!

সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস/টাইমস নাও নিউজ

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।