করোনা থেকে সুস্থ হলে যে ৭টি টেস্ট করানো জরুরি
বর্তমানে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঘরে চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে জানেন কি, করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পরও এর প্রভাব শরীরে থেকেই যায়। এ ছাড়াও করোনা নেগেটিভ আসলেও পরবর্তীতে কিন্তু আবারও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
তাই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, ৭টি টেস্ট অবশ্যই করানো জরুরি। সেইসঙ্গে নিয়মিত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া উচিত। জেনে নিন কোন টেস্টগুলো করানো জরুরি-
আইজিজি অ্যান্টিবডি টেস্ট: করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার পরে, দেহ সহায়ক অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এর ফলে ভবিষ্যতে করোনা সংক্রমণকে রোধ করে। শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপরেই নির্ভর করে না অ্যান্টিবডি লেভেল। পাশাপাশি এটি প্লাজমা দানের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত উপকারি।
সাধারণত শরীরে অ্যান্টিবডির বিকাশ হতে প্রায় এক বা দুই সপ্তাহ সময় লাগে। তাই সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কাউকে প্লাজমা দিতে চাইলে সুস্থ হওয়ার এক মাসের মধ্যে টেস্ট করাতে হবে। সাধারণত এটিই প্লাজমা দেওয়ার জন্য আদর্শ সময়।
সিবিসি টেস্ট: রক্ত পরিমাপ করা হয় সিবিসি টেস্টের মাধ্যমে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্লাড সেলস (আরবিসিএস, প্লাটিরেটস ইত্যাদি) পরিমাপ করা হয়। এ পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, করোনা সংক্রমণের পরে আপনি কতটা সুস্থ আছেন এবং কোন বিষয়ের দিকে নজর দেওয়া উচিত।
হার্ট ইমেজ ও কার্ডিয়াক স্ক্রিনিং: করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর শরীর দুর্বল হয়ে যায়। সংক্রমণের ফলে শরীরে প্রচুর প্রদাহ হয়, যার কারণে হার্টের পেশিগুলো দুর্বল হয়ে যায়। করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর অনেক রোগীর হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। তাই করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরে হার্ট ইমেজ বা কার্ডিয়াক স্ক্রিনিং অবশ্যই করাতে হবে।
চেস্ট স্ক্যান টেস্ট: এই টেস্টের মাধ্যমে জানা যায়, আপনার ফুসফুস কতটা সুস্থ আছে। করোনার প্রভাবে ফুসফুস কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এই টেস্টের মাধ্যমেই জানতে পারবেন।
ভিটামিন ডি টেস্ট: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। এজন্য করোনা সংক্রমণ এড়াতে এমনকি কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হতেও ভিটামিড গ্রহণ করার বিকল্প নেই। করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর এজন্য শরীরে ভিটামিন ডি’এর ঘাটতি আছে কি-না তা টেস্ট করানো প্রয়োজন।
নিউরো-ফাংশন টেস্ট: করোনা থেকে সেরে ওঠার পর রোগীদের মধ্যে বেশ কয়েক মাস পর্যন্ত মানসিক এবং স্নায়ুসংক্রান্ত অসুবিধা লক্ষ্য করা যায়। যেমন- ব্রেন ফগ, উদ্বেগ, অবসন্নতা এবং মাথা ঘোরা, ইত্যাদি। এজন্য ব্রেন এবং নিউরোলজিক্যাল ফাংশন টেস্ট অবশ্যই করাতে হবে।
গ্লুকোজ-কোলেস্টেরল টেস্ট: করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর অনেক রোগীর শরীরেই ডায়াবেটিস পাওয়া গেছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে তাদের শরীরে ডায়াবেটিস ছিল না। এজন্য কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে গ্লুকোজ টেস্ট করানো জরুরি। এতে জানতে পারবেন আপনার রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ঠিক আছে কি-না।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জেআইএম