এ সময় ইউরিন ইনফেকশন রোধে ঘরেই যা করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৪ এএম, ১৮ এপ্রিল ২০২১

রোজায় পানি খাওয়া কম হয়। একে তো গরম তার উপর করোনার আবহ। সব মিলিয়ে সুস্থ থাকতে শরীরের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া অত্যাবশ্যকীয়। রোজায় যেহেতু পানি কম খাওয়া হয়; তাই এ সময় ইউরিন ইনফেকশন বা প্রস্রাবে সংক্রমণ ঘটতে পারে।

ইউরিন ইনফেকশন কী? একধরনের ব্যাকটেরিয়াঘটিত সংক্রমণ হলো ইউটিআই বা মূত্রনালীর সংক্রমণ। প্রাথমিকভাবে এ রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ও ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ হয়ে থাকে।

আপনি যদি এমন কোনো সমস্যায় এরই মধ্যে ভুগে থাকেন অথবা অতীতে হয়ে থাকলে মেনে চলুন কিছু ঘরোয়া উপায়। ওষুধের পাশাপাশি ঘরোয়া এসব নিয়ম মেনে চললে দ্রুত সারিয়ে তোলা যায় ইউটিআই-

infection-4.jpg

পানির বিকল্প নেই: ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন থেকে মুক্তি পেতে প্রথম কাজ হলো প্রচুর পানি পান করা। রোজার সময় যেহেতু কম পানি পান করা হয়, তাই আপনি নিয়ম করে প্রতিদিন ৭-৮ গ্লাস পানি অবশ্যই খাওয়ার চেষ্টা করুন।

গরমে ঘামের মাধ্যমেও শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যায়। তাই যত বেশি পানি পান করবেন শরীর থেকে ততই টক্সিন ফ্লাস আউট হবে ঘাম ও প্রস্রাবের মাধ্যমে। ইফতারের সময় থেকে শুরু করে সাহরি পর্যন্ত এক গ্লাস করে ৭/৮ বার পানি পান করুন।

পুষ্টিকর খাবার: রোজার সময় ইফতারে ভাজা-পোড়া খাবার সবাই কমবেশি খেয়ে থাকেন। আপনি যদি ইউটিআইয়ের সমস্যায় ভুগে থাকেন; তাহলে এসব খাবার হতে পারে আপনার জন্য বিপজ্জনক। তৈলাক্ত ও ভাজা-পোড়া খাবার জীবাণুর সংক্রমণ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে!

infection-4.jpg

এ সময় এমন খাবার খেতে হবে; যাতে প্রচুর ভিটামিন সি আছে যেমন- লেবু, আনারস, স্ট্রবেরি, ক্র্যানবেরি, আপেলও, কমলা ইত্যাদি। এ ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খেতে হবে। মাছ ও মুরগির মাংসও খেতে পারেন।

তবে কফি, কোল্ড ড্রিঙ্ক, অতিরিক্ত তেল ও মশলাযুক্ত খাবার, অ্যালকোহল ইত্যাদি খেলে প্রস্রাবে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। যেসব ফলে পানির পরিমাণ বেশি; সেগুলোও খেতে পারেন যেমন- তরমুজ, শশা ইত্যাদি। এগুলো টক্সিন ফ্লাস আউট করে জীবাণু সংক্রমণ রোধ করতে সক্ষম।

infection-4.jpg

প্রস্রাব চেপে রাখবেন না: ভুলেও প্রস্রাব চেপে রাখবেন না। এতে ব্লাডারে চাপ পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাকটেরিয়াও বেড়ে যেতে থাকে শরীরে।

ব্যায়াম করুন: শরীর থেকে টক্সিন বের করার আরও একটি উপায় হলো ব্যায়াম করা। আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা থেকে ইউটিআই হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ব্যায়াম করলে মেদ ঝরবে সঙ্গে ব্যাকটেরিয়াও বেরিয়ে যায়। এ ছাড়াও যদি তলপেটে গরম শেক নেন তাহলেও আরাম পাবেন।

পোশাক পরিধানে সাবধান: যেহেতু গরম, তাই এ সময় ঢিলেঢালা সুতি বা লিলেনের পোশাক পরুন। এতে ঘষা লাগে না এবং জীবাণু সংক্রমণও কম হয়।

infection-4.jpg

একই কাপড় না ধুয়ে বেশিদিন পরিধান করা থেকে বিরত থাকুন। গোপনাঙ্গ সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। সেইসঙ্গে একই অন্তর্বাস দীর্ঘসময় ব্যবহার করবেন না।

প্রোবায়োটিকস খান: নারীদের গোপনাঙ্গে যেকোনো কারণেই জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। তাই নিয়মিত টক দই খাওয়া উচিত। এতে থাকে প্রোবায়োটিকস। যা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

টক দইতে ভালো ব্যাকটেরিয়া বা প্রোবায়োটিকস থাকে। যা রোগ-জীবাণু ছড়ানো ব্যাকটেরিয়া দূর করতে পারে। তাই টকদই প্রতিদিন খাওয়া উচিত

সূত্র: হেলথলাইন

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।