প্রিয়জন আপনার সঙ্গে থাকতে চান কি-না বুঝে নিন এসব লক্ষণে
সম্পর্কে ঝগড়া-বিবাদ, খুনসুটি, অভিমান এসব থাকবেই। তাই বলে দীর্ঘদিন অভিমান কিংবা রেগে থাকলে সম্পর্কে ঘুনপোকা ধরতে পারে। পরবর্তীতে হয়ত সেই ঘুনপোকা একটু একটু করে আপনার সম্পর্কই নষ্ট করে দিতে পারে।
অনেকেই আছেন প্রেম চলাকালীন বা বিয়ের পরও সঙ্গীর মতিগতি বুঝে উঠতে পারেন না। একজনের সঙ্গে সম্পর্ক চলমান থাকলেও পাশাপাশি আরেকজনের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক চালিয়ে নিতে থাকেন। যদিও বিষয়টি ঠিক নয়, এক্ষেত্রে ওই সঙ্গীকে দোষারোপ না করে বরং তিনি কী কারণে এমনটি করছেন সে বিষয়ে জানা জরুরি।
অনেক সময় সম্পর্কে নারী/পুরুষ অপরজনের কাছ থেকে মানসিক কিংবা শারীরিক নির্যাতন দীর্ঘদিন ধরে সহ্য করে থাকেন। হয়তো বা ক্ষণবিশেষে সব সমস্যা মিটে যায়, তবুও ওই রেশ কিন্তু মনে কোনো না কোনোভাবে প্রভাব ফেলে। এভাবে সম্পর্ক নষ্ট হতে থাকে।
এরপর নির্যাতিত মানুষটি হয়তো তার সঙ্গীকে ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও তিনি মুখ ফুলে বলতে পারেন না। তবে এর কয়েকটি লক্ষণ আছে, যেগুলো অনেকদিন ধরেই প্রকাশ পায়। এসব লক্ষণ দেখলে আপনি সাবধান হোন, কারণ এসব লক্ষণের কারণ হতে পারে সঙ্গী আপনাকে ছেড়ে যাচ্ছেন!
>> হঠাৎ করেও যদি আপনার মনে হয়, সঙ্গী আপনাকে আর বিশেষভাবে সময় দিচ্ছেন না কিংবা ভালোবাসছেন না; তাহলে সতর্ক থাকুন। তার সঙ্গে খোলামেলা কথা বলুন। তবে সন্দেহবশত হয়ে কখনো প্রিয়জনের সঙ্গে ঝগড়া করবেন না। এটি সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার মূল কারণ।
>> হয়তো সঙ্গী আপনাকে আগে অনেক সময় দিতো, কিন্তু এখন তিনি বারবার কাজের অজুহাত দেখাচ্ছে! এ লক্ষণটিও কিন্তু সুবিধার নয়। কারণ যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, প্রিয়জনের প্রতি সবাই যত্নশীল থাকেন।
>> নানা অজুহাত দেখিয়ে সঙ্গী যদি আপনাকে বারবার এড়িয়ে চলে; সেক্ষেত্রে সমস্যা থাকতে পারে। হয়তো তিনি অন্য কোথাও ওই সময়টুকু দিচ্ছেন বা আপনার সঙ্গে সময় কাটাতে এখন আর তার ভালো লাগছে না!
>> প্রায় প্রতিদিনই কি সঙ্গীর সঙ্গে আপনার সাধারণ বিষয় নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে? সাধারণত দাম্পত্য জীবনে বিরক্ত হয়ে উঠলে এ সমস্যাটি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
>> উপরোক্ত এসব বিষয়গুলো যখন বারবার হতে থাকে; তখন স্বাভাবিকভাবেই আপনি হয়তো নিজেকে অবহেলিত ভাববেন! তখন আর কিছুই ভালো লাগবে না।
যদিও এসব লক্ষণগুলো প্রমাণ করে আপনাদের সম্পর্কে আর আগের মতো নেই। তাতত কি? চাইলেই কিন্তু আবার নতুন করা শুরু করতে পারেন!
বোল্ডস্কাই/জেএমএস/জেআইএম