বার্ড ফ্লু এড়িয়ে মুরগির মাংস ও ডিম খাওয়ার উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫০ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২১

বর্তমানে বার্ড ফ্লু রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে। এটি একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় রোগ। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে বার্ড ফ্লু মানুষের শরীরে বাসা বাঁধে।

এ ভাইরাসটি সাধারণত পাখির শরীর থেকে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত পাখিরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজেই চলে যায় বলে রোগটিও দ্রুত ছড়ায়। বার্ড ফ্লু বায়ুবাহিত রোগ হিসেবে বিবেচিত।

বার্ড ফ্লুর ভয়ে এখন অনেকেই মুরগির মাংস বা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সঠিকভাবে রান্না করলে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নেই। তবে কীভাবে রান্না করলে পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত হওয়া যায়, সে সম্পর্কেও জানেন না অনেকেই।

এ ছাড়াও অনেকের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে- পোল্ট্রি মুরগি খাওয়া যাবে তো? কিংবা ওভেনে রান্না করা যাবে কী? ডিম কীভাবে খেতে হবে? ইত্যাদি।

egg

যদিও মানুষের মধ্যে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। তবে এমন ঘটনা যে একেবারে ঘটেনি, তা কিন্তু নয়। তবে অবশ্যই পাখি বা মুরগি কেনার সময় সতর্ক থাকতে হবে।

পাশাপাশি সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করলে বার্ড ফ্লুর জীবাণু মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে মুরগির মাংস খাবেন-

>> বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ রান্নার তাপমাত্রায় ভাইরাসটি বাঁচতে পারে না। তাই সঠিকভাবে রান্না করা মাংসে কোনো ঝুঁকি থাকে না।

>> তবে ওভেনের ক্ষেত্রে অবশ্যই ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রান্না করতে হবে। তাহলেই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া মরে যাবে। কারণ বার্ড ফ্লুর ভাইরাস ৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বাইরে বাঁচতে পারে না।

egg

>> মুরগির মাংস কেনার আগে অবশ্যই ভালো দোকান থেকে কিনবেন।

>> বাড়িতে এনে মাংস এবং ডিম ভালোভাবে ধুয়ে রান্না করুন। মাংস সঠিকভাবে রান্না হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত করুন।

এজন্য খেয়াল রাখবেন, মাংসগুলো সাদা হয়েছে কি-না। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত সেদ্ধ হয়েছে কি-না দেখেই তা খাবেন।

>> ডিম খাওয়ার বেলায় অবশ্যই রান্না বা সেদ্ধ করে খান। কাঁচা ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

টাইমসনাউনিউজ/জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।