হ্যান্ড স্যানিটাইজার যেভাবে শিশুর ক্ষতি করে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৩ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২১

ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সবাই এখন স্যানিটাইজার ব্যবহার করে থাকেন। কারণ সবসময় তো আর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার সুযোগ থাকে না। তাই কাছে একটি স্যানিটাইজার থাকলে যেকোনো সময় হাতের জীবাণু ধ্বংস করা সম্ভব হয়।

বড়দের পাশাপাশি ছোটদের সুরক্ষাতেও আমরা স্যানিটাইজার ব্যবহার করে থাকি। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছে ছোটদের স্বাস্থের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার।

আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশিত এক গবেষণায় এমনই তথ্য জানানো হয়েছে। গবেষণা মতে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের কারণে শিশুদের চোখের এবং ত্বকের সমস্যা মারাত্মকভাবে বেড়ে যাতে পারে।

jagonews24

এ বিষয়ে শিশুস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজারে ৭০ শতাংশ অ্যালকোহল রয়েছে। এ মাত্রা শিশুদের জন্য অনেক ক্ষতিকর। যদিও করোনাকালীন এ সময়ে জীবাণু থেকে বাঁচতে সবাই স্যানিটাইজার ব্যবহারে বাধ্য; কিন্তু তা স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর।

গবেষণাপত্রের তথ্য মতে, ২০১৯ সালে যত জন শিশুর চোখের ইনফেকশনে চিকিৎসা করানো হয়েছিল; তার মধ্যে মাত্র ১.৩ শতাংশের ক্ষেত্রেই ইনফেকশনের কারণ ছিল হ্যান্ড স্যানিটাইজার। ২০২০ সালে এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি। শুধু চোখ নয় বাড়ছে ত্বকের সমস্যাও।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মত, শিশুদের তালুর ত্বক যতটা নরম হওয়ার কথা, তা কমেছে এ সময়ের মধ্যে অনেকটাই কমেছে। অনেক শিশুর আঙুল ও নখে ধরেছে ফাটল ও ছত্রাকের আক্রমণ দেখা গেছে। কারণ শিশুরা কারণে বা অকারণে মুখে বা চোখে হাত দেয়। সে সময় যদি তাদের হাতে স্যানিটাইজার থাকে; তা সহজেই চোখে বা মুখে গেলে বিষক্রিয়া ঘটে।

jagonews24

হ্যান্ড স্যানিটাইজার সংশ্লিষ্ট এমন ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা। বাজারে যেসব স্যানিটাইজার পাওয়া যায়; সেগুলোর গুণগত মানের বিষয়েও কর্তৃপক্ষের নজরদারি প্রয়োজন।

শিশুদের কাছ থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দূর রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তাদের সুরক্ষায় কী করা উচিত? গ্লাভস ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে শিশুদেরকে। এতে শিশুর হাতে স্যানিটাইজার লাগানোর প্রয়োজনীয়তা কমবে। সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়বে না।

সিএনএন/জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।