কাঁচা মরিচেই সারবে খুসখুসে কাশি, যেভাবে খাবেন
শীতে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভুগে থাকেন। আর এ সময় একবার কাশি হলে সারাতে বেশ ভোগান্তি পেতে হয়। বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রে যন্ত্রণাদায়কও মনে হয়।
এ ছাড়া এ সময় খুসখুসে কাশিও বেশ বিরক্তিকর। তাই কাশি সারাতে সাধারণত আমরা সিরাপ বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ওপর নির্ভর করি।
জানেন কি, প্রাকৃতিক কিছু উপাদান দিয়েও কিন্তু দীর্ঘদিনের কাশি সারাতে পারবেন। জেনে নিন ঘরে বসেই কীভাবে প্রাকৃতিক টোটকা ব্যবহার করে সারাবেন কাশি-
রসুন ও কাঁচা মরিচ: রসুন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যসমৃদ্ধ। সর্দি-কাশির জন্য এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এজন্য এক কাপ পানিতে দু-তিনটি রসুন, এক চামচ ধনেপাতার রস এবং অল্প পরিমাণে কাঁচা মরিচের কুচি মিশিয়ে দুই মিনিট ফুটিয়ে নিন।
সামান্য ঠান্ডা করে মধু মিশিয়ে দিনে দু’বার খেলেই কাশি নিরাময় হয়। কফের সমস্যা থাকলেও এ টোটকায় সেরে যাবে দ্রুত। এ ছাড়াও রসুনের গুঁড়া, কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল এবং খানিকটা মধু গরম পানিতে মিশিয়ে পান করলেও কাশি থেকে আরাম পাওয়া যায়।
আয়ুর্বেদিক ওষুধ হলুদ: আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে যুগ যুগ ধরে হলুদ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি কাশির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। এ জন্য আধা কাপ গরম পানিতে এক চামচ হলুদ গুঁড়া এবং এক চামচ কালো মরিচ মিশিয়ে নিন।
চাইলে দারুচিনি গুঁড়াও মিশিয়ে নিতে পারেন। দু-তিন মিনিটের জন্য মিশ্রণটি ফুটিয়ে নিন। এ মিশ্রণে মধু মিশিয়ে পান করলে কাশি কমতে শুরু করবে।
পেঁয়াজে দূর হবে কাশি: পেঁয়াজের গন্ধ কাশি নিরাময় করতে পারে। পেঁয়াজের রসে সমপরিমাণে মধু মিশিয়ে একটি বোতলের মুখ বন্ধ করে চার ঘণ্টা রেখে দিন। মিশ্রণটি দিনে দুবার এক চামচ পরিমাণে খেলে কাশি কমে যাবে দু’দিনেই।
ওয়েলনেস/জেএমএস/এসইউ/জেআইএম