শীতে দুধ-মিছরি খেলে দূরে থাকবে সর্দি-কাশি
দুধ হলো আদর্শ খাবার। মিছরি দুধে অ্যান্টাসিড এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। অনেক সময় শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম থাকলে ক্লান্তিবোধ আসতে পারে। এমন সময় মিছরির পানি খেলে ক্লান্তিভাবে মুহূর্তেই চলে যাবে। যদি দুধ-মিছরি একসঙ্গে পান করা যায়, তবে শরীরে মিলবে নানা পুষ্টিগুণ।
দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, নিয়াসিন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, আয়োডিন, খনিজ পদার্থ, চর্বি, শক্তি, রাইবোফ্লাভিন, ভিটামিন এ, ডি, কে এবং ই রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই মিছরি অনেক গুরুতর রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
তাই যদি দুধ-মিছরি একসঙ্গে পান করি, তবে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক দুধ-মিছরির উপকারিতা-
>> হালকা গরম দুধের সঙ্গে মিছরি মিশিয়ে খেলে অনিদ্রা দূর হয়। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি পান করতে হবে।
>> মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি মনকে শান্ত রাখতে সহায়তা করে। হতাশা থেকে মুক্তি পেতেও খুব উপকারী বলে বিবেচিত।
>> কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবে যারা সারাদিন কাজ করেন; তাদের জন্য দুধ-মিছরির মিশ্রণটি খুব উপকারী। এটি চোখকে সুস্থ রাখে।
>> হজমের সমস্যা দূর করতে দুধ-মিছরির মিশ্রণটি খুব জরুরি। এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর এবং হজমে উন্নতি করতে সহায়তা করে। অ্যাসিডিটির সমস্যায় ঠান্ডা দুধে মিছরি মিশিয়ে খেলে উপকার মিলবে।
>> গরম দুধে জাফরান ও মিছরি মিশিয়ে পান করলে শরীরে অ্যানার্জি আসে। এ ছাড়াও শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ে।
>> শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে আরও উন্নত করে দুধ-মিছরি। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
>> পুরুষের যৌন বিকলতা দূর করতেও পানীয়টি বেশ কার্যকর।
>> ঠান্ডা আবহাওয়ায় এক গ্লাস গরম দুধ ও মিছরি পান করলে সর্দি-কাশি থেকে উপশম ঘটবে। দিনে দু’বার স্বাস্থ্যকর পানীয়টি শীতে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেবে।
ওয়েলনেস/জেএমএস/এসইউ/এমএস