ঘরোয়া উপায়ে সারিয়ে তুলুন চোখের অঞ্জনি
চোখ ফুলে লাল হয়ে যায় অঞ্জনি হলে। চোখের পাতা মেলা যায় না। পাতা ফেলতে গেলেই চোখের ব্যথায় কষ্ট পেতে হয়। সাধারণত অঞ্জনি হলে চোখের পাতায় ফুসকুড়ির মতো বের হয়। অনেক সময় পুঁজও হয়ে যায়।
এমন চোখ নিয়ে বাইরে বের হতেও বিব্রতবোধ করতে হয়। তাই কালো চশমার আড়ালে লুকাতে হয় চোখ। এ ছাড়াও বাতাস লাগলে চোখ দিয়ে বেশি পানি পড়তে পারে। তাই অঞ্জনি হলে দুশ্চিন্তা না করে বরং ঘরোয়া উপায়ে সারিয়ে তুলুন।
অঞ্জনি কেন হয়?
অনেকের ধারণা, চোখে নোংরা জমে বা ইনফেকশন হয়ে অঞ্জনি দেখা দেয়। তবে চিকিৎসকদের মতে, চোখে অনেক ক্ষুদ্র তেল গ্রন্থি আছে। বিশেষ করে চোখের পাতার ওপর। মৃত কোষ, ময়লা বা তেল জমে ওই ছোট ছোট তেল গ্রন্থিগুলোকে বন্ধ করে দেয়। সেসব গ্রন্থি বন্ধ হওয়ায় ভেতরে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়ায় অঞ্জনি হয়। এটা চোখের ভেতরে এবং বাইরে হতে পারে।
অঞ্জনির লক্ষণ
১. চোখ ফুলে যাওয়া
২. যন্ত্রণা করা
৩. চোখ থেকে পানি পড়া
৪. চোখের পাতায় ফুসকুড়ি ওঠা ও ব্যথা
৫. চোখের পলক ফেলার সময় বেশি ব্যথা ইত্যাদি।
প্রতিরোধে করণীয়
অঞ্জনি হলে কখনো চোখ ঘঁষবেন না। এর ওপর চাপ দেবেন না বা স্পর্শ করবেন না। চিকিৎসকদের মতে, অঞ্জনি হলে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করলে কয়েকদিনেই সেরে যায় এ অসুখ-
>> গরম সেঁক দিলে পুঁজ বেরিয়ে অঞ্জনি ভালো হয়ে যাবে খুব তাড়াতাড়ি। একটি পরিষ্কার কাপড় নিয়ে সেটাকে গরম পানিতে ডুবিয়ে নিন। কাপড় থেকে পানি নিংড়ে চোখের ওপর ৫-১০ মিনিট রাখুন।
>> চোখে অঞ্জনি হলে কখনোই বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। এতে চোখের ক্ষতি হবে। হালকা গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে তুলায় করে চোখের পাতা পরিষ্কার করুন।
>> গরম টি ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। ব্ল্যাক টি সব থেকে ভালো কাজ করে। কারণ এতে থাকে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। চা খাওয়ার পর ব্যবহৃত টি ব্যাগ ঠান্ডা করে চোখের ওপর রাখুন। ৫-১০ মিনিটের মতো রাখলেই হবে।
বোল্ডস্কাই/জেএমএস/এসইউ/এমএস