গর্ভাবস্থায় যে ৫ সবজি ডায়েটে রাখবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ০২ নভেম্বর ২০২০

১০ মাস ১০ দিন গর্ভে সন্তান নিয়ে চলা সহজ নয়। সামান্য ভুলেই হতে পারে বিপদ। একজন সুস্থ মা-ই পারেন সুস্থ-সবল সন্তান জন্ম দিতে। ফলে বিশেষজ্ঞরা গর্ভবতীদের ডায়েটের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, মায়েদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতির কারণে নবজাতক সন্তানও নানবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাই হবু মায়ের উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট গ্রহণ করা।

jagonews24

বিট: গর্ভবতীদের জন্য খুব উপকারি একটি সবজি। এটি ভিটামিন-সি ও ফাইবারের দুর্দান্ত উৎস। যে কারণে বিট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে, অ্যানিমিয়া ও অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ও ভ্রুণের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

jagonews24

মটরশুঁটি: মটরশুঁটি ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ একটি খাবার। পাশাপাশি এতে উচ্চ পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামও রয়েছে। তাই এটি গর্ভবতীদের ডায়েটের জন্য অত্যন্ত জরুরি। গর্ভবতীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এটি।

jagonews24

ব্রকোলি: গর্ভাবস্থায় ডায়েটে ব্রকোলির ভূমিকা অশেষ। এটি পটাশিয়াম, ফোটেল, লোহা, ভিটামিন-এ, সি এবং কে দ্বারা সমৃদ্ধ। এ ছাড়াও এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মা এবং সন্তানের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণ ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সহায়ক।

jagonews24

টমেটো: টমেটো কার্বোহাইড্রেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বায়োটিন, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে ইত্যাদির দুর্দান্ত উৎস। যা গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের স্বাস্থ্যকর বিকাশে সহায়তা করা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা, রক্তক্ষয় রোধ করা, হজমশক্তি উন্নত করা, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখা, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করা, ইউটিআই প্রতিরোধ করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

তবে পরিমাণের ব্যাপারে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা নেয়াই ভালো। কারণ এটি বেশি খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো নয়।

jagonews24

পালং শাক: গর্ভাবস্থায় ডায়েটে পালং শাক রাখা অত্যন্ত জরুরি। এতে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলো শিশুর জ্ঞানীয় বিকাশ ও গর্ভবতী মায়েদের মেজাজ ভালো রাখতে এবং গর্ভপাত রোধ করতে সহায়তা করে।

এ ছাড়াও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, ভ্রূণের হাড় ও দাঁতের বৃদ্ধিতে সহায়তা করা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করা ও ত্বককে ঠিক রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে।

তবে এক্ষেত্রে একটি সপ্তাহে কতটা পরিমাণ খাবেন, তা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই ডায়েটে রাখবেন।

বোল্ডস্কাই/এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।