থানকুনি পাতা শরীরের যেসব উপকার করে
যত্ন নিয়ে চাষ করতে হয়, এমন নয়। অনেকটা অনাদরেই বেড়ে ওঠে এই থানকুনি পাতা। কিন্তু এর উপকারিতা বেশ দামি। এখন অবশ্য চাষও হচ্ছে অনেক জায়গায়। তেতো স্বাদের এই পাতা আমাদের শরীরের জন্য অসংখ্য উপকার বয়ে আনে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এই পাতা বাটা খুবই উপকারী। থানকুনি পাতার কিছু উপকারিতার কথা প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান টাইমস-
ক্ষত সারাতে
শরীরের কোথাও কেটে গেলে রক্তপাত থামাতে ব্যবহার করতে পারেন থানকুনি পাতা। থানকুনি পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগালে ব্যথা কম হবে আর রক্ত পড়াও বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকী ক্ষত থেকে সংক্রমণের আশঙ্কাও থাকে না।
শরীরে রক্ত প্রবাহ ঠিক থাকে-
অনেকের থ্রম্বোসিসের সমস্যা থাকে। এছাড়াও অনেকের দেহেই অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে রক্তপ্রবাহে সমস্যা হয়। থানকুনি পাতার রস খেলে রক্ত শুদ্ধ থাকে। ফলে শরীরের প্রতি কোশে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে যায়। ফলে অনেক সমস্যা দূর হয়।
শরীরে জ্বালাপোড়া দূর করে
থানকুনি পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি উপাদান। যার ফলে খুব তাড়াতাড়ি জ্বালা, যন্ত্রণা কমে যায়। এছাড়াও ক্লান্তি ভাব দূর হয়। সেই সঙ্গে অনেক রকম ইনফেকশন থেকেও দূরে রাখে।
অলসার দূর করে
পেটের যে কোনো রোগে থানকুনি পাতা ভীষণ উপকারী। আমাশয় থেকে আলসার সেরে যায় এই পাতার গুণেই। আর নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
মানসিক অবসাদ দূর করে
মানসিক অবসাদে ভুগলে তা দূর করার জন্য খুব ভালো থানকুনি পাতার রস। থানকুনি স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মানসিক চাপ আর অস্থিরতা দুই কমে। এর ফলে অ্যাংজাইটির আশঙ্কাও কমে যায়।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে
নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পেন্টাসাক্লিক ট্রিটারপেনস নামের একটি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যে কারণে ব্রেনসেল ভালোভাবে কাজ করতে পারে। স্মৃতিশক্তির উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে বুদ্ধির ধারও বাড়ে চোখে পড়ার মতো।
ঘুম ভালো হয়
ঘুম না আসার সমস্যা রয়েছে অনেকেরই। আপনারও এমন সমস্যা থাকলে খেতে পারেন থানকুনি পাতা ভেজানো পানি। এতে স্নায়ু শিথিল হবে। ঘুম আসবেই।
এইচএন/এএ/পিআর