সম্পর্কে ভাঙন ধরেছে? যেভাবে বুঝবেন
ভেতরে ভেতরে ছন্দ কেটে গেলেও বাইরে থেকে তা অনেক সময় টের পাওয়া যায় না। অনেক সম্পর্কের ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটে। দীর্ঘদিন পাশাপাশি থেকেও দূরত্ব বাড়তে থাকে ক্রমশ। এই প্রক্রিয়া এমন ধীর হয় যে, হুট করে বুঝতে পারা সম্ভব হয় না। হয়তো ঝগড়া-ঝাটি নেই, চিৎকার চেচামেচিও নেই কিন্তু সেই নিস্তব্ধতাও অসহ্য মনে হয়। পাশে থেকেও যেন কত দূরে! সম্পর্কে কোনো তাল নেই, সুর নেই।
পরস্পরের প্রতি উদাসীনতা এক সময় বড় আকার ধারণ করে। তখন ভাবতে বসতে হয়, কেন এমন হলো! কিন্তু যখন বিষয়গুলো ঘটে, তখন সেদিকে একটু নজর দিলেই এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব অনেকটাই। ইন্ডিয়ান টাইমস প্রকাশ করেছে সম্পর্ক ভাঙার পাঁচটি পূর্ব লক্ষণের কথা।
আলিঙ্গনে অনিচ্ছা
আগে সুযোগ পেলেই পরস্পর আলিঙ্গনবদ্ধ হতেন আর এখন তাকে একবারের জন্যও জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছা হয় না। এরকমটা দেখা দিলে বুঝতে হবে কোথাও একটা তাল কেটে গেছে। পরস্পরকে ভালোবাসি বলার অভ্যাসটি হারিয়ে গেলেও তা দুশ্চিন্তার কারণ।
পরস্পরের সমালোচনা
যেকোনো বিষয়ে একে অন্যের পাশে থাকাই একজন ভালো সঙ্গীর লক্ষণ। কিন্তু সুযোগ পেলেই অন্যজনের সমালোচনায় মেতে ওঠা কিংবা অন্যের কাছে নিন্দা-মন্দ করে বেড়ানো সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার লক্ষণ। তাকে কোনোকিছুতেই গুরুত্ব না দেয়াও সেরকমটাই প্রকাশ করে।
রাতে আলাদা থাকা
যদি দুজন আলাদা কক্ষে বা আলাদা বিছানায় ঘুমাতে অভ্যস্ত হয়ে যান তবে বুঝে নেবেন, সম্পর্ক একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে। এমনকী এক বিছানায় থেকেও দূরত্ব বজায় রাখা এই লক্ষণই প্রকাশ করে। এর অর্থ হলো, সম্পর্কের তাল কেটে গেছে। তাকে ছাড়াও জীবন চালিয়ে নেয়া সম্ভব।
ছুটির দিনে সঙ্গীকে সময় না দেয়া
সপ্তাহভর প্রত্যেকেই ব্যস্ত থাকেন নানা কাজে। অপেক্ষা করেন ছুটির দিনের। কিন্তু এখন ছুটি পেলেও সেই দিনটা সঙ্গীর পাশে না থেকে বন্ধুদের সঙ্গে কাটাতে বেশি ভালোলাগে। এমনটা ঘটলে বুঝতে হবে সম্পর্ক আর আগের মতো নেই।
সঙ্গী নয়, সোশ্যাল মিডিয়া
সারাদিনের কাজের শেষে যখন দুজন একসঙ্গে সময় কাটানোর কথা, সেই সময়টা কাটাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পাশাপাশি বসে টিভি দেখা, গল্প করা বা মনের কথা জানান দেয়ার চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে বেশি ভালোলাগছে? বুঝে নেবেন সম্পর্কে তিক্ততা চলে এসেছে।
এইচএন/এএ/এমএস