এই সময়ে কেমন হবে ঈদের সাজ
ঈদ এলেও ঈদের আনন্দের সঙ্গে যোগ হয়েছে আতঙ্কও। এই আতঙ্ক হলো মহামারী করোনাভাইরাসের। এমনিতেও ঈদুল আজহায় খুব বেশি সাজের সময় পাওয়া যায় না। তারওপর এবার করোনা নিয়ে আলাদা দুশ্চিন্তা। সব মিলিয়ে সাজগোজ থেকে দূরে থাকতে চাইবেন অনেকে। কিন্তু নিজেকে বিষণ্ন রাখা কি ঠিক? সমস্যা এলে সমাধানের পথ খুঁজতে হয়। নিজেকে অগোছালো রাখলে মন খারাপ আরও বেড়ে যাবে। তাই চোখে পড়ার মতো না হোক, অন্তত পরিপাটি রাখার চেষ্টা করুন নিজেকে।
মহামারীর কারণে ঈদকে আগের মতো রঙিন মনে হচ্ছে না যেন। এখন আর আনন্দ নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়ানো সম্ভব নয়। এই দিনটাতে যেহেতু ঘরেই থাকা হবে, তাই খুব চড়া মেকআপ করতে যাবেন না যেন। অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার আর ফেস পাউডার ব্যবহার করেই সকালে তৈরি হতে পারেন। যেহেতু বাইরে বের হওয়ার তাড়া নেই, তাই সানস্ক্রিন ব্যবহারের দরকার নেই।
বর্ষায় ঈদ হলেও গরমের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। তাই ঈদের সকালে হালকা রঙের সুতি পোশাক পরার চেষ্টা করুন। ঈদে নতুন পোশাক না থাকলেও তুলে রাখা অনেক সুন্দর সুন্দর পোশাক নিশ্চয়ই রয়েছে? সেখান থেকে পছন্দের পোশাকটি পরতে পারেন। শাড়ি পরলে খোঁপায় গুঁজতে পারেন তাজা কোনো ফুল। চোখে হালকা কাজল, ঠোঁটে মানানসই কোনো লিপস্টিক বা লিপগ্লস পরতে পারেন। ম্যাচিং করে হালকা গয়নাও পরা যায়। সব মিলিয়ে হালকা সাজেই স্নিগ্ধ থাকুন।
শাড়ি সামলাতে না পারলে বেছে নিন সালোয়ার কামিজ বা টপস। তবে সাজগোজ একইরকম হালকা থাকা চাই। চুল ছেড়ে রাখার কারণে গরম বেশি লাগতে পারে, তাই হালকা হাতে বেঁধে নিতে পারেন। বেণি কিংবা পনিটেল এক্ষেত্রে মানানসই। হালকা ধাঁচের গয়না পরুন পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে।
এবারের ঈদে কারও অতিথি হয়ে আসার সম্ভাবনা কম। এদিকে আপনিও যাচ্ছেন না কারও বাড়িতে। তবে রাতে না হয় নিজের জন্যই একটু সাজলেন! রাতের বেলা গাঢ় রঙের কোনো পোশাক বেছে নিতে পারেন। তবে ভারী মেকআপের কোনো প্রয়োজন নেই। সকালের মতোই হালকা মেকআপ আর সাজ বজায় রাখুন। শুধু পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে লিপস্টিক বেছে নিতে পারেন।
রাতের সাজে চোখের সাজটা একটু গাঢ় করতে পারেন। দেখতে বেশ ভালোলাগবে। চোখে গাঢ় করে মাসকারা ব্যাবহার করতে পারেন। পাশাপাশি দিন আইলাইনার আর কাজলও। চুল বাঁধার ধরনেও আনতে পারেন নতুনত্ব। এই মন খারাপের ঈদেও একটু সতেজ থাকার চেষ্টা করতে তো ক্ষতি নেই!
এইচএন/এএ/পিআর