চন্দ্রগ্রহণের সময় খাবার খাওয়া কি নিরাপদ?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪০ পিএম, ০৪ জুলাই ২০২০

সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগহণ নিয়ে নানারকম ধারণা বা বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে। অনেকেই এই সময়গুলোকে ‘অশুভ’ বলে বিশ্বাস করেন। আবার অনেকে এই সময়ে বাইরে যাওয়া বা খাবার খাওয়ার বিষয়েও নানা নিষেধ মেনে চলেন।

চন্দ্রগ্রহণ আমাদের শরীরের প্রাকৃতিক ঘড়ির ওপর শক্তিশালী প্রভাব ফেলে। এর শেকর ঐতিহ্যগত বিশ্বাস ছাড়াও এতে চিকিৎসাবিজ্ঞানের গভীরে রয়েছে। তাই প্রচুর মানুষ এটি মেনে চলেন। এই সময়ে খাবার রান্না করা কিংবা খাওয়ার খেতে কিছু বিধি-নিষেধ মেনে চলেন।

Grohon-3

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানাচ্ছে চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে প্রচলিত কিছু সাধারণ বিশ্বাস:

কাঁচা খাবার এড়ানো উচিত
প্রচলিত রীতি অনুসারে, চন্দ্রগহণ চলাকালীন কাঁচা খাবার, নির্দিষ্ট ফল এবং শাকসবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। ধারণা করা হয় যে, এসময় চাঁদ থেকে নির্গত রশ্মি এসব খাবারের বৈশিষ্ট্য নষ্ট করে এবং খাওয়ার পক্ষে অযোগ্য করে তুলতে পারে। অ্যালকোহল, মাংস জাতীয় খাবার বা হজম করতে দীর্ঘ সময় লাগে এমন খাবারও খেতে নিষেধ করা হয়।

Grohon-4

আগে থেকে খাবার রান্না করে না রাখা
চন্দ্রগ্রহণ শেষ হওয়ার পরে গোসল করে নেন। অনেকে আবার গ্রহণের আগে খাবার রান্না করে রাখতে নিষেধ করেন। চিরাচরিত বিশ্বাস অনুসারে, চাঁদ থেকে নির্গত শক্তিশালী রশ্মি খাদ্য দূষিত বা ক্ষয় করতে পারে। তাই চন্দ্রগ্রহণের আগে কিছু রান্না করে না রেখে বরং গ্রহণের সময় শেষ হলে হালকা এবং সতেজ কিছু খেয়ে নেন। তবে এই ধারণার পেছনে বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই।

খাবারে তুলসিপাতা যোগ করা
অনেকে রেডিয়েশন কাটতে খাবার তৈরির সময় তুলসিপাতা যোগ করতে পছন্দ করেন। যদিও এর পেছনে বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই। তবে তুলসি পাতা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং নানারকম অসুখ থেকে দূরে থাকা যায়।

Grohon-5

খাবারে হলুদ যোগ করা
এমনিতেই আমাদের দেশীয় খাবার তৈরিতে হলুদের ব্যবহার প্রচলিত। তবে অনেকে চন্দ্রগহণের সময় খাবারে হলুদের ব্যবহার বাধ্যতামূলক মনে করেন। হলুদে দুর্দান্ত অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীরের পক্ষে উপকারী। এটি আমাদের সুরক্ষিত থাকতে সহায়তা করে। তাই আলাদাভাবে বৈজ্ঞানিক যুক্তি না থাকলেও খাবারে হলুদ রাখলে আসলে ক্ষতি নেই।

Grohon-6

আপনি কী করবেন?
যেকোনো রীতিনীতি অনুসরণ করার আগে আপনার স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে মনে রাখবেন যে আপনার ডায়েট যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যকর হওয়া উচিত। আয়ুর্বেদিক দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণ শুরুর কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে হালকা এবং সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া উচিত। ডিটক্সফাইফিং চা এবং ঠান্ডা পানীয় যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে সেসব পান করা ভালো।

আরেকটি কাজ করতে পারেন তা হলো, খাবার পানিতে আদা বা লেবুর টুকরো যোগ করে পান করতে পারেন। এটিও বেশ উপকারী হবে। তবে সবকিছুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি, যেহেতু সবার শরীরের ধরণ বা শারীরিক সামর্থ্য একরকম হয় না।

এইচএন/এএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।