শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়াবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫৫ পিএম, ২৫ জুন ২০২০

বড়রা জানেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী করতে হবে, কী খেতে হবে। কিন্তু ছোটরা সেসব জানে না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কী, তা বোঝার মতো প্রাপ্তবয়স্ক তারা নয়। তাইতো মজাদার আর মুখরোচক খাবারের প্রতি তাদের যত আগ্রহ। কিন্তু এই করোনাকালে নজর দিতে হবে ছোটদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকেও। তারা বায়না করতেই পারে অপুষ্টিকর খাবার খাওয়ার, কিন্তু অভিভাবক হিসেবে তাদেরকে বুঝিয়ে বলার দায়িত্ব আপনারই। কেন এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি, এর জন্য কোন খাবারগুলো খেতে হবে তাও তাকে বুঝিয়ে বলুন। বোল্ডস্কাই জানাচ্ছে সেরকমই কিছু খাবারের কথা যেগুলো খেলে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে-

Sisu

মাতৃদুগ্ধ
একদম ছোট শিশুর ক্ষেত্রে তার প্রয়োজনীয় উপাদান হলো মাতৃদুগ্ধ। শিশুরা তাদের স্তন্যপান থেকেই প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করে, তাই মাতৃদুগ্ধের বিকল্প নেই। এছাড়াও, বয়স অনুযায়ী অন্যান্য খাবার খেতে পারলে সেদ্ধ শাকসবজি, মাছ ইত্যাদি খাবার খাওয়াতে পারেন।

Sisu

হলুদ
হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে বাচ্চাদের দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ান। আবার সকালে আধা চা চামচ মধুর সঙ্গে অল্প একটু কাঁচা হলুদের টুকরোও খাওয়াতে পারেন।

Sisu

দই
দই শিশুদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল অসুস্থতা প্রতিরোধে সহায়ক। দই প্রো-বায়োটিক পূর্ণ, যা দেহের খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়তা করে এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তাই প্রতিদিন খাবারের পর দই খাওয়ান।

Sisu

ডিম
ডিমে থাকে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেলস্ এবং প্রোটিন, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই শিশুকে নিয়মিত ডিম খাওয়ান।

Sisu

সবুজ শাক-সবজি
অনেক শিশুই শাকসবজি খেতে পছন্দ করে না। কিন্তু এই সময়ে তাদের সুস্থ রাখতে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখুন শাক-সবজি। ফুলকপি, ব্রকলি, পালং শাক, মেথি শাক ইত্যাদি রাখলে আরও ভালো।

Sisu

বাদাম
শিশুর প্রতিদিনের খাবারে রাখুন খেজুর, পেস্তা বাদাম, কাজু বাদাম, আখরোট ইত্যাদি। এগুলি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের আস্ত বাদাম দেয়া থেকে বিরত থাকুন। বাদাম গুঁড়া করে অল্প অল্প খাওয়াতে পারেন। যাদের বাদামে অ্যালার্জি আছে তাদের খাওয়াবেন না।

Sisu

ফল
সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ফল খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। ফলে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং অন্যান্য চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুকে ফলের রস বের করে খাওয়াবেন। শিশুর জন্মের প্রথম এক বছরে তাদের এই খাবারগুলো দেবেন না।

এইচএন/এএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।