করোনাভাইরাস বাড়ির ভেতরে কতটা দ্রুত ছড়ায়?
করোনাভাইরাস মহামারীতে রূপ নিয়েছে ইতিমধ্যেই। এর আতঙ্ক থেকে মুক্ত নয় কেউ-ই। আমার জানি, এর থেকে বাঁচার জন্য সতর্ক থাকা কতটা জরুরি। কারণ এই ভাইরাস ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায় এবং দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারে। যাতে মানুষেরা সহজেই সংক্রমিত হয়।
তাইতো বাজার, ওষুধের দোকান কিংবা হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হলে আমরা অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করি। কিন্তু পরিবারের একজন যদি আক্রান্ত হন, সেক্ষেত্রে অন্য সদস্যদের আক্রান্ত হওয়া খুবই সহজ। বাড়িতে যেকোনো একজন আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে খুব দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।
একটি নতুন সমীক্ষা বলছে, সার্সের তুলনায় করোনাভাইরাস বাড়ির সদস্যদের মধ্যে দ্বিগুণ সংক্রামক। কারণ কোনো করোনাভাইরাস রোগী লক্ষণ দেখা দেয়ার আগেই অতিরিক্ত জীবাণু ছড়াতে পারেন। এমনটাই বলা হচ্ছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে।
চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত গবেষকরা জোর দিয়েছেন যে, এই তথ্যটি আগামীতে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা কমিয়ে আনতে বেশ সহায়ক হতে পারে।
গবেষণার জন্য গবেষকরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩৫০ জন রোগীর তথ্য এবং তাদের সংস্পর্শে এসেছে এমন প্রায় দুই হাজারজনের তথ্য ব্যবহার করেছিলেন। বিস্তারিতভাবে ডেটা পর্যালোচনা করার পরে, তারা ভাইরাসের সেকেন্ডারি অ্যাটাকের হার অনুমান করতে সক্ষম হয়েছিল। এটি কোনো সংক্রামিত ব্যক্তির মাধ্যমে অন্য কাউকে সংক্রমিত হওয়াকে বোঝায়।
তারা জানতে পেরেছিলেন যে, রোগীর সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস না করলে এই রোগে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা মাত্র ২.৪ ভাগ। এদিকে রোগীর সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করেছেন এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা ১৭.১ ভাগ। এছাড়াও, ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে সংক্রমণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি এবং ২০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে কম ছিল।
সংক্রামিত রোগীর দ্বারা করোনাভাইরাস সংক্রমণের সামগ্রিক হার সার্সের চেয়ে দ্বিগুণ এবং মার্সের চেয়ে তিনগুণ বেশি।
সমীক্ষায় বলা হয় যে, ভাইরাসটি সহজেই সংক্রমণযোগ্য এবং সংক্রামিত ব্যক্তির কোনোরকম লক্ষণ প্রকাশের আগেই এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। গবেষকদের মত অনুসারে, পরিবারের ভেতরে সামাজিক দূরত্ব মেনে চললে তা সংক্রমণের ঝুঁকি ২০-১৫০ শতাংশ হ্রাস করতে পারে।
এইচএন/জেআইএম