চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা? জেনে নিন করণীয়
করোনাভাইরাসের আগের ও পরের পৃথিবী একইরকম হবে না। বদলে যাবে অনেককিছুই। শুরুর দিকটায় কেউ বুঝতে পারেনি এই সমস্যার শেকড় কতদূর যাবে। এখনও খুব বেশি বোঝা যাচ্ছে না তবে ইতিমধ্যেই অর্থনীতিতে লেগেছে বিপুল ধাক্কা, চাকরি হারিয়েছেন অনেক মানুষ।
যাদের চাকরি এখনও টিকে আছে, তারাও বুঝতে পারছেন না ঠিক কতদিন চলবে এই পরিস্থিতি। অনেকেই আছেন, যাদের রিটায়ারমেন্ট এসে গেছিল কাছে, প্রতিষ্ঠানগুলো খরচ কমানোর জন্য তাদের ছেঁটে ফেলেছে সবার আগে। আবার যারা সদ্য পাশ করে বেরিয়েছেন তাদেরও চাকরি পাওয়ার আশা খুব কম। ফলে সব মিলিয়ে বাড়ছে হতাশা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতিটাই এমন যে ঠিক কী করলে যিনি চাকরি হারিয়েছেন, তিনি যে খুব একটা ভালো থাকবেন না সেটা বোঝাই যাচ্ছে। মানুষের প্রাথমিক প্রয়োজন খাদ্য, তার পর আসে বস্ত্র আর বাসস্থান। টাকা না থাকলে কোনোটাই থাকবে না। ছোটোখাটো কিছু করে যে চালাবেন, তারও সুযোগ কম। কারণ বাজারে উপভোক্তাই নেই। পরামর্শ হচ্ছে, প্রথমে আপনার যেটুকু সঞ্চয় আছে, সেটা সুরক্ষিত করার ব্যবস্থা করুন। আর খুব কম খরচে চালান। আশা করা যাক এই পরিস্থিতি বেশিদিন স্থায়ী হবে না
একমাত্র এই আশায় ভর করে চলা ছাড়া আর উপায় নেই। মনে রাখবেন, কম্পিউটার যখন এলো, তখনও মনে করা হয়েছিল যে প্রচুর মানুষ কাজ খোয়াবেন। কিন্তু তা হয়নি। ভাইরাস একবার নিয়ন্ত্রণে এলেই অবস্থা বদলাবে নিঃসন্দেহে। সেই সময়টার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।
যাদের মাথায় ব্যবসার পরিকল্পনা আছে, তারা সেই চেষ্টা করে দেখার কথা ভাবতে পারেন। ভেঙে পড়ে হেরে যাবেন না, ভালো সময় ফিরবে এই আশায় বুক বেঁধে লড়াই জারি রাখুন।
এখন বাজারের অবস্থা টালমাটাল, চাকরি পাওয়া মুশকিল। সম্ভব হলে একটু অপেক্ষা করুন। ততদিন ফ্রিল্যান্স কাজ করে টিকে থাকার চেষ্টা করতে পারেন। চাকরি সংক্রান্ত রিসার্চ থামাবেন না। বিশেষ করে আপনার নিজের কাজের ক্ষেত্রটা এখন ঠিক কী অবস্থায় আছে, সেটা জানা দরকার।
নেটওয়ার্কিং করুন, অনলাইনে সেটা করতে অসুবিধে হবে না। অন্য সময়ে আপনি কোনো কোম্পানির সিইওকে হয়তো সরাসরি মেল করতেন না, কিন্তু এখন তা করা যায়। সবাই অনলাইনেই কাজ করছেন, তাই উত্তর পাওয়ার আশাও আছে। প্রশ্ন করুন। আপনি কীভাবে সেই সংস্থাকে সাহায্য করতে পারেন তা জানান।
নেটওয়ার্কিং খুব কাজে লাগে। বিশেষ করে যারা অন্য কোনো ফিল্ডে সরে যেতে চাইছেন, তারা নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে উপকার পেতে পারেন। আপনার কাজে সরাসরি সাহায্য করতে পারে, এমন কোনো স্কিল আয়ত্ব করতে পারলে খুব ভালো হয়।
তার আগে নিজেকে কিছুটা সময় দিন। এত বড়ো একটা সমস্যা চলছে, খানিক বিপর্যয় হবেই। তাই মাথা ঠান্ডা রাখা খুব জরুরি। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, সঞ্চয়ে হাত পড়লে চিন্তিত হবেন না। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতেই সঞ্চয়। কিছুদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সেদিনের জন্য অপেক্ষা করুন।
এইচএন/এমএস