মেডিটেশন কতটা উপকারী?
পৃথিবীজুড়ে যে অস্থিরতা, তার আঁচ লাগছে আমাদের গায়েও। পুরো পৃথিবীর মানুষই এখন কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ভবিষ্যতে কী হতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে ধারণা করা সম্ভব নয় কারো পক্ষেই। যত দিন যাবে, এই চরম অনিশ্চয়তা তত বেশি বাড়বে। বাড়ির সবার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর তার প্রভাব পড়বে।
এই পরিস্থিতিতে ভালো থাকার রাস্তা একটাই- মেডিটেশন। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা সুনিশ্চিত করার জন্য সমস্ত চিন্তাশক্তি ও একাগ্রতাকে সংহত করার এই পদ্ধতিই আপনাকে দিতে পারে শান্তির সন্ধান।
বলা হয়, যারা নিয়মিত মেডিটেশন করেন, তাদের অহঙ্কার কমতে থাকে ক্রমশ, আত্মার সঙ্গে গড়ে ওঠে নিবিড় বন্ধন। মনের মধ্যে যে সব রাগ আর ক্ষোভ আমরা পুষে রাখি, তার অনেকটা থেকেই মুক্তি দেয় নিয়মিত ধ্যানের অভ্যাস।
স্ট্রেস বা অ্যাংজাইটি বাড়লে বেড়ে যায় হৃদস্পন্দনের হারও। মেডিটেশনের অভ্যেস সেই গতিও কমাতে পারে। তা ছাড়া মন শান্ত হয়, নিয়ন্ত্রণ আসে রাগের উপর। রাগ কমে এলেই মানুষের মায়া-দয়া বাড়ে। সব মিলিয়ে আপনি পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন অনেক ভালোভাবে।
আমাদের সবকিছুতে মনঃসংযোগ করতে সত্যিই সমস্যা হচ্ছে ইদানীং। তেমনটাই স্বাভাবিক। কারণ আমাদের প্রত্যেকের চিত্তই কম-বেশি বিক্ষুব্ধ হয়ে আছে এবং এই অবস্থায় মন দিয়ে কোনো কাজই করা যায় না।
মেডিটেশন মানে মন এবং চিন্তাভাবনাকে সংহত করা প্র্যাকটিস করা। ধ্যানের অভ্যেস থাকলেই আপনার মনোযোগও বাড়বে। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের এই অভ্যাস করাতে পারলে খুব ভালো ফল পাবেন।
এইচএন/পিআর