যেসব কারণে করোনার মতোই বিপজ্জনক এইচআইভি
এইচআইভি ভাইরাস সম্পর্কে অনেকেই জানেন। এটি কতটা ক্ষতিকর সে সম্পর্কে অবশ্য খুব বেশি ধারণা আমরা রাখি না। চিকিৎসকেরা বলছেন, বেশিরভাগ রোগী নিজের অজ্ঞতাবশত এই রোগকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যান।
প্রাথমিক ভাবে ধরা পড়লে এইচআইভি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। যদিও এইচআইভির লক্ষণগুলি ব্যক্তি ভেদে আলাদা তবুও এই রোগের সংক্রমনের দুই-তিন মাসের মধ্যে কিছু প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়ে। সেদিকে খেয়াল করে সতর্ক হওয়া যায়। জেনে নিন এই রোগের লক্ষণগুলো-
করোনার মতোই একটি ভাইরাস এইচআইভি। সরাসরি আঘাত হানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায়। সংক্রমিত ব্যক্তির বাঁচার সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হতে থাকে এইচআইভি সংক্রমিত হলে।
এইচআইভিতে আক্রান্ত বেশিরভাগ লোক প্রাথমিকভাবে জ্বরে আক্রান্ত হন। প্রথম প্রথম এই জ্বর প্রায় চার সপ্তাহ কাবু করে রাখে।
এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির অনেক সময় অনিয়ন্ত্রিত ঘাম হয়। জামা-কাপড় ভিজে যেতে পারে। এমনকী ঘুমের মধ্যেও অস্বাভাবিক ঘামে ভিজে যায়। ঘাম, জ্বর একই সঙ্গে শরীরকে নাজেহাল করে তুলতে পারে।
এইচআইভি সংক্রমণের প্রথম বড় লক্ষণ হল, গলায় ব্যথা। এইচআইভি সংক্রমণ হলে শুরুতে গলায় অস্বাভাবিক ব্যথা হয়। রোগীর ঢোক গিলতে বা কোনো খাবার খেতে কষ্ট হয়। এমনকি পানি খেতেও অসুবিধা হয়।
ক্রোয়েশিয়ার সংস্থা অ্যাক্টা ডার্মাটোভেনরল-এর সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৮৮ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে প্রথম তিন সপ্তাহের মধ্যেই গলায়, মাথায় রেশ দেখা দেয়। তীব্র প্রদাহ হতে শুরু করে চাকা চাকা হয়ে ফুলে থাকা জায়গাগুলোতে।
এইচআইভি সংক্রমণ শুরু হলে শুরুর দিকে অনেকের বমি ভাব হয়। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা যত কমতে থাকে ততই পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে বমি ভাব।
এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে এখনই সতর্ক হোন। তবে এসব লক্ষণের যেকোনো একটি বা দু’টি দেখা দেয়া মানেই কিন্তু এইচআইভি আক্রান্ত হওয়া নয়। হতে পারে তা অন্য কোনো রোগের লক্ষণ। তাই সমস্যা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকুন।
এইচএন/এমএস