করোনা আতঙ্কে মন শান্ত রাখতে যা করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪১ পিএম, ০৮ মে ২০২০

মন অস্থির হওয়ার অনেক কারণ আছে। এমন কঠিন পরিস্থিতি অনেকের জন্যই নতুন। সামাজিক দূরত্ব, বাড়ি থেকে বের হতে না পারা, প্রিয়জনদের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত, আর্থিক অনিশ্চয়তা- এমন নানা কারণে উদ্বিগ্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক। দীর্ঘদিন ধরে এই পরিস্থিতির কারণে অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছেন। এর প্রকাশও পাচ্ছে তাদের আচরণে। মেজাজ হয়ে যাচ্ছে খিটখিটে। কোনোকিছুই আর ঠিকভাবে হচ্ছে না।

এরকম সমস্যা হলে প্রাথমিকভাবে বিষয়টা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে নিজেকেই। খুব ভালো করে ভেবে দেখুন তো কেন আপনার আচরণ বদলে যাচ্ছে? যদি মনে হয় সাম্প্রতিক পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণেই এই সমস্যা শুরু, তাহলে নিজেকে কিছু বিষয় বোঝাতে হবে-

বিজ্ঞাপন

Mon-3.jpg

পৃথিবীতে কোনোকিছুই চিরস্থায়ী নয়। মনকে বোঝান, এই পরিস্থিতি বেশিদিন থাকবে না। জীবনে সমস্যা আসবেই, এবং তার সমাধানও পাওয়া যাবে। নিজেকে বারবার এই কথাটা বলুন, তাতে একসময় মনের মধ্যে আশা জাগিয়ে তুলতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

দিনের মধ্যে অন্তত মিনিট দশেক মনটা শান্ত করে বসুন। এই সময়টায় মনে কোনো চিন্তা আসতে দেবেন না। জোরে শ্বাস নিন। এতে শরীরে পজিটিভ হরমোন বাড়বে, মন শান্ত থাকবে।

খবর দেখুন তবে তা যেন আপনার মানসিক চাপের কারণ না হয়। অহেতুক উদ্বেগ বাড়ানোর মানে নেই। নানারকম কাজের পাশাপাশি ভালো বই পড়ুন, গান শুনুন, সিনেমা দেখুন। মনটাকে নিজের মতো চলতে দিন। অনেকটাই হালকা লাগবে।

Mon-3.jpg

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আপনার মনের অনেক না বলা কথাই লেখা যেতে পারে ডায়েরিতে। এই কঠিন সময়ে হয়তোর প্রিয়জনের সঙ্গ পাচ্ছেন না। তাতে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। মনের কথা যদি প্রকাশ করতে না পারেন, ডায়েরিতে লিখে রাখুন। তাতে মন অনেকটা শান্ত লাগবে।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

ইতিবাচক চিন্তা আপনার মন এবং শরীর দুটোই ভালো রাখতে সাহায্য করবে। কারণ দুশিন্তা বা নিরাশায় যদি ভুগতে শুরু করেন তবে তা শেষ করা কঠিন হয়ে যাবে। যত কষ্টই হোক, নিজেকে ইতিবাচক রাখার চেষ্টা করুন। অভ্যাসে সব হয়। এই অভ্যাস আপনার মন শান্ত রাখতে সাহায্য করবে।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।