বাড়িতে থাকা একটি উপাদানেই সুন্দর ত্বক

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১১ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২০

বাড়িতে থেকে অনেকটা সময় যদিও পাওয়া যাচ্ছে হাতে, কিন্তু ত্বকের যত্নে হয়ে পড়েছেন উদাসীন। আবার প্রয়োজনীয় উপাদানও মিলছে না ঠিকভাবে। এখন এমন এক সময়, যখন প্রতিদিনের রান্না-খাওয়ার উপকরণটুকু মিললেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। উদ্বিগ্নতা, মন খারাপ তো আছেই। তাই বলে কি নিজের চেহারাখানাও ম্লান করে থাকবেন? নিজের যত্ন নিলে সময়টা ভালো কাটবে আবার মনও ভালো হবে।

ঘি চিরকালই বাঙালির রান্নাঘরের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই লকডাউনের টানাটানির দিনকালে রূপচর্চার ক্ষেত্রেও খুব জরুরি উপাদান হয়ে উঠেছে ঘি। আপনার ত্বক তেলতেলে, শুষ্ক, স্বাভাবিক যাই হোক না কেন, তার আর্দ্রতা রক্ষায় নিশ্চিন্তে কাজে লাগাতে পারেন ঘি।

Ghee-1.jpg

শুধু ত্বকের ময়েশ্চার লেভেল বজায় রাখাই নয়, প্রাকৃতিক অ্যান্টি-এজিং উপাদান হিসেবেও ঘিয়ের সুনাম রয়েছে। মুখে সূক্ষ্ম রেখা পড়লে কিংবা অকালে মুখে বলিরেখা বা সূক্ষ্ম রেখা পড়তে শুরু করলে দেরি না করে ঘি মাখতে শুরু করুন। ত্বকের মসৃণতা ফিরে আসবে দ্রুত।

চোখের নিচের কোমল, স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য অল্প ঘি আন্ডার আই ক্রিমের মতো রাতে ঘুমানোর আগে চোখের চারপাশে মেখে নেয়া যায়। ঠোঁট ফাটার সমস্যা থাকলেও ঘি নিয়ে লিপ বামের মতো করে মেখে নিন ঠোঁটে।

শুষ্ক, নিষ্প্রাণ ত্বকেও প্রাণসঞ্চার করতে পারে ঘি। গোসলের আগে মেখে নিন সারা শরীরে, ত্বকে ফিরে আসবে হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা আর কোমলতা।

Ghee-1.jpg

আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে ঘিয়ের সঙ্গে পানি মিশিয়ে তার ঘনত্ব কমিয়ে অনেক বেশি মসৃণ করে তোলা হয়। তারপর তা মুখে মাখলে ত্বকের জৌলুস ফিরবে খুব তাড়াতাড়ি। মুখে এই ঘি খুব ভালো করে মাসাজ করুন, তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলবেন।

ত্বকের উজ্জ্বলতা স্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে তুলতে ঘি দিয়ে তৈরি ফেস প্যাক লাগিয়ে দেখুন। এই ফেস প্যাক বানাতে আপনার লাগবে পরিমাণমতো বেসন, সমপরিমাণ ঘি আর পানি। তিনটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন, তারপর মুখে আর গলায় লাগিয়ে মিনিট পনেরো রেখে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে নিষ্প্রাণ, বিবর্ণ ত্বকেও খুব দ্রুত বাড়বে উজ্জ্বলতা।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।