সংক্রমণ দূরে রাখবে যেসব খাবার

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩২ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২০

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা, বারবার হাত ধোয়া, পরিষ্কার থাকা আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো- এখনও পর্যন্ত এগুলোই হলো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকলে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই অনেক সহজ হয়। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ৭০-৭৫ শতাংশ আসে আমাদের প্রতিদিনের খাবার থেকে। আর বাকি ২৫-৩০ শতাংশ নিয়মিত ব্যয়াম ও কায়িক শ্রম থেকে গড়ে ওঠে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যে কার্যকর ভূমিকা নেয় ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, আর দুটি অত্যন্ত দরকারি খনিজ জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম। এবং অবশ্যই উচ্চমানের প্রোটিন। অবশ্য তার মানে এই নয় যে অন্যান্য ভিটামিন, খনিজ বা ফাইবার অপ্রয়োজনীয়। সুস্থ থাকার জন্য সুষম খাবার খাওয়া একান্ত প্রয়োজন।

আমরা যে মশলা খাই তার অনেকগুলোই অজস্র মিনারেলস ও অ্যান্টঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। তবে খুব বেশি তেল ঝাল মশলা দিয়ে রান্না করা ঠিক নয়। এর ফলে একদিকে সবজির গুণ চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, অন্য দিকে হজম হতে সমস্যা হয়।

Khabar

এমন কোনো ম্যাজিক ফুড নেই যা খেলে রাতারাতি কংক্রিটের ইমিউনিটি তৈরি হবে। প্রতিদিনের খাবার খাওয়া, শরীরচর্চা, মন মেজাজ সব কিছুর ওপর নির্ভর করে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। তাই সঠিক খাবার নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত এক্সারসাইজ ও স্ট্রেস মুক্তির জন্য মেডিটেশন করলে ভালো হয়।

ভিটামিন সি-র প্রসঙ্গ এলেই লেবু কিংবা কমলার নাম মনে আসে সবার আগে। কিন্তু প্রায় সব রকম ফলে ভিটামিন সি আছে। লেবু, আমলকিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। আঙুর, পেয়ারা, আপেল, পেঁপে, শসা, কলা, তরমুজ- যেসব ফল পাওয়া যাবে কিনে রাখুন। সপ্তাহে একদিন বা দু’দিনের বেশি বাজারে না যাওয়াই ভালে। কিনে রেখে দিতে পারেন। প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত দু’-তিন রকম ফল খাবেন।

Khabar

বাজারে বেগুন, কুমড়ো, পটল, ঢেঁড়স, গাজর, টমেটো পাওয়া যাচ্ছে। এক সপ্তাহের মতো কিনে রাখা যায়। বেগুনে পর্যাপ্ত ভিটামিন, মিনারেলস ও ফাইবার আছে। মাঝে মাঝে কলমি শাক, লাউ বা কুমড়ো শাক খেতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে টমেটো বেশ কার্যকরী। তাই চেষ্টা করুন রান্নায় টমেটো ব্যবহারের।

বাজার থেকে কেনা শাক, সবজি, ফলমূল ভালো করে ধুয়ে নিয়ে শুকিয়ে তবেই ফ্রিজে রাখতে হবে। কেবল আলু আর ভাত রুটি খেলে ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়বিটিসের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ডাল ও সবজি খাওয়া দরকার। খিচুড়ি একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও মুখরোচক খাবার। দু’তিন রকম ডাল দিয়ে খিচুড়ি প্রোটিন ও ভিটামিনে ভরপুর। তবে সপ্তাহে এক দু’দিনের বেশি খিচুড়ি না খাওয়াই ভালো।

Khabar

হলুদের প্রধান উপাদান হল এই কারক্যুমিন। এটি একটি অত্যন্ত উচ্চমানের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। তাই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোরদার করতে নিয়মিত হলুদ খাওয়া উচিত। সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ আর একগ্লাস গরম পানিতে একটি লেবুর রস মিশিয়ে খেতে হবে। কোভিড–১৯ ছাড়াও যেকোনো অসুখকে দূরে রাখার অন্যতম উপায় এইভাবে ইমিউনিটি বাড়ানো।

রসুনে থাকা অ্যালিসিন অসুখ বিসুখকে দূরে সরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। রসুনে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ ও ম্যাঙ্গানিজ আমাদের শরীরের জন্যে অত্যন্ত উপকারী। এ ছাড়া রান্নায় ব্যবহৃত আদায় থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম হল ইমিউনিটি বুস্টার।

Khabar

কালোজিরায় থাকে নানান মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস। চেষ্টা করুন রান্নায় কালোজিরা ব্যবহার করার। রান্নায় আদা, রসুন, হলুদ, কালোজিরা ব্যবহার করা দরকার। এছাড়া নিয়ম করে কাঁচা হলুদ ও রসুন খাওয়া উচিত।

প্রতিদিন দই খাওয়া উচিত। সকালের নাস্তায় দই খেতে পারেন, কিংবা মিড মর্নিং-এ দইয়ের ঘোল, লাঞ্চে দই বা রায়তা, নানাভাবে দই খাওয়া দরকার। একদিকে যেমন ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে, অন্যদিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।

আনন্দবাজার/ এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।