এই সময়ে খাবারের খরচ কমাবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৭ পিএম, ০৩ এপ্রিল ২০২০

সামনে কী ঘটতে যাচ্ছে তা এখনই নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। কতদিন এভাবে বাড়িতে থাকতে হতে পারে, কবে ফিরতে পারবেন কর্মক্ষেত্রে সেকথাও বলা সম্ভব নয়। করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচার উপায় হলো বাড়িতে থাকা। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন।

এই সময় আর অন্যান্য সময়ের মধ্যে অনেক পার্থক্য। অন্য সময় হলে যখন যেটা মন চায়, কিনে খাওয়া যেতো। এখন সেই উপায় নেই। সেইসঙ্গে দেখতে হবে খরচের দিকটাও। কারণ, কবে আবার সবকিছু ঠিক হবে তা কেউ জানে না। তাই এই সময়ে খরচও করতে হবে বুঝেশুনে।

এখন থেকেই বুদ্ধিমানের মতো রান্না করুন। যেহেতু কারও বাড়িতেই গৃহকর্মী আসছেন না, তাই নিজের হাতে পরিস্থিতি সামলাতে সুবিধা হবে। বাইরের খাবারদাবার এখন একেবারেই মিলবে না, তাই রান্নাঘরে বারবার ঢুকতে হবে।

Khoroch

যত দিন যাবে, এই ফলমূল জাতীয় জিনিসের সহজলভ্যতা তত কমবে। যারা সালাদ আর ফল খেয়েই দিনযাপন করতেন, তাদের খুব অসুবিধা হবে। কিন্তু পাশাপাশি এটাও খেয়াল রাখবেন যে এই পরিস্থিতি আপৎকালীন, বিলাসিতা ভুলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার উপর জোর দিন।

প্রতিদিনের রান্নাবান্না এমনভাবে প্ল্যান করুন যাতে গ্যাস আর এনার্জি দুটোই বাঁচে। যাদের বাড়িতে হার্ট পেশেন্ট বা ডায়াবেটিস রোগী আছেন, তাদের সংগ্রহেও যদি চাল, ডাল, আটা, লবণ, তেল, আলু, পেঁয়াজ থাকে, তাহলেই দিব্যি চলবে!

হালকা নাস্তার জন্য ভাজাভুজি নয়, ভরসা রাখুন সেদ্ধ বা শুকনো খোলায় ভাজা ছোলা, মুড়ি বা চিড়ার উপর। এর বাইরে কিছু বাদাম-কিশমিশ সংগ্রহ করতে পারলে তো আরও ভালো।

Khoroch

সকালের দিকে যাদের পাউরুটি ছাড়া চলে না, তারা ক্রমশ নির্ভরতা কাটানোর চেষ্টা করুন। চিড়ার পোলাও, দুধ-মুড়ি, কর্নফ্লেক্স থাকলে ভালো। নাহলে রুটি বা ছাতুর উপর ভরসা করুন।

দুপুরে ভাত-ডাল-তরকারি রান্নার সময় খুব বেশি তেল মশলা ব্যবহার করবেন না। বিকেলের নাস্তা সংক্ষিপ্ত হলে রাতে রুটি-তরকারি হতেই পারে। সব সময় পেট হালকা রেখে খাবেন। তাতে শরীর ভালো থাকবে।

এইচএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।