বাড়িতে থেকে অস্থির শিশু? ভালো রাখবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৩৬ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০২০

প্রজাপতির মতো চঞ্চল শিশু আজ বাড়ির চার দেয়ালে আটকা। স্কুল বন্ধ হয়েছে আগেই, বাইরে বের হওয়াও নিষেধ। সারাক্ষণ বাড়িতে থেকে শিশুর অস্থির হওয়াটা স্বাভাবিক। তারা বড়দের মতো ভালো-মন্দ বুঝতে পারে না। তাই শিশুকে বুঝিয়ে বলার দায়িত্বও বড়দের। এই সময়ে শিশুর উপর বিরক্ত না হয়ে বরং তার সমযগুলো সুন্দর করার চেষ্টা করুন।

সারাদিনের সময়টা কীভাবে কাটাবে সে বিষয়ে শিশুর সঙ্গে বসেই আলোচনা করে নেয়া যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুরা বেশ বুদ্ধিমান। তাদের সম্পূর্ণ পরিস্থিতি বুঝিয়ে বললে তারা ঠিকই বুঝতে পারবে।

child

এই সুযোগে শিশুর বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। বই পড়ার অভ্যাস না থাকলে কোনো ভালো গল্প পড়ে শোনান, কিন্তু সম্পূর্ণ করার আগেই থেমে যান। সন্তানকে বলুন বাকি অংশ ও যেন আপনাদের পড়ে শোনায়। এতে মাতৃভাষার প্রতি আগ্রহও বাড়বে।

করোনাভাইরাস কতটা মারাত্মক সেই বিষয়ে শিশুর সামনে বেশি আলোচনা না করাই ভালো। তবে বিষয়টি ওদের মতো করে বুঝিয়ে বলুন। এতে পরবর্তীতে ওরা যেকোনো খারাপ সময়ের সঙ্গে লড়তে পারবে।

child

সারাক্ষণ নিউজ চ্যানেল চালিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা আর মৃতের সংখ্যা দেখবেন না। এতে শিশুর মনে মৃত্যুভয় দেখা দিতে পারে।

যে সব শিশুর একটু বোঝার মতো বুদ্ধি হয়েছে হয়েছে তাদের বুঝিয়ে বলুন, ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ কী আর তার যৌক্তিকতাই বা কতটা। তাহলে চার দেওয়ালের মধ্যে আটকে থাকার গ্রহণযোগ্যতা অনেকটা বাড়বে ওদের মধ্যে।

child

আপনার শিশুকেও তার বয়স ও ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ ভাগ করে দিন। এর ফলে শিশু এক দিকে স্বাবলম্বী হতে শিখবে, অন্য দিকে সময় কাটবে। তবে কাজে সফল হলে প্রশংসা করতে ভুলবেন না।

ছবি দেখা, ছবি আঁকা, বাগান করা, গল্পের বই পড়া, মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট বাজানোর মতো কোনো শখ যেটা ঘরে বসেই করা যায়, এমন কিছুতে উৎসাহিত করলে ভালো হয়।

child

এই সময় বাড়িতে খাবারের বিষয়টি অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সহজ ও সংক্ষিপ্ত করুন। এর মধ্যে দিয়ে শিশুটি বুঝতে শিখবে যে জীবনে খারাপ-ভালো যে কোনো পরিস্থিতি মেনে নিতে হবে। এই সময় শিশু খাবার যেন নষ্ট না করে তাও শেখান।

শিশু ঘরে বসে বসে বিরক্ত হয়ে দুষ্টুমি করলে তাকে মারধর করবেন না। এতে মনের উপর উল্টো প্রভাব পড়ে শিশুটির মধ্যে হতাশা তৈরি হতে পারে। বরং বুঝিয়ে বলুন।

এইচএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।