গ্যাস্ট্রিকে নাজেহাল? মুক্তি মিলবে এভাবে
কম-বেশি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন না, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বর্তমানের ব্যস্ত জীবনযাপনে নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া সম্ভব হয় না সব সময়। বরং হাতের কাছে যা পাওয়া যায় তাই খেয়ে নেন অনেকে। এসব অনিয়ম শরীর সহ্য করবে কেন? তাইতো দেখা দেয় গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা। এর সমাধান পেতে পারেন এভাবে-
ঠান্ডা দুধ: গ্যাস্ট্রিক সারাতে একগ্লাস ঠান্ডা দুধ খেয়ে দেখুন, মুক্তি মিলবেই। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একগ্লাস ঠান্ডা দুধ খেতে পারলে বেশি উপকার পাবেন।
চাল ধোয়া পানি: রাত্রে চাল ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ওই চাল ধোয়া পানি খালি পেটে পান করুন। যাদের গ্যাস্ট্রিকের ক্রনিক সমস্যা আছে তাদের জন্য এই পদ্ধতি খুব উপকারী।
খালি পেটে বাসি পানি: গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো প্রচুর পানি পান করা। রাত্রে একগ্লাস পানি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দিন। সকালে উঠে একদম খালি পেটে, ব্রাশ না করে ওই পানি পান করে নিন। নিয়মিত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন যারা তাদের জন্য এটা খুব ভালো।
আপেল সাইডার ভিনেগার: এককাপ পানিতে এক থেকে দুই চা চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে সেই পানি পান করুন। এটা খালি পেটে না খাওয়াই ভালো, তাতে বমি হতে পারে। তবে একদম ভরা পেটেও পান করবেন না। দিনে দুইবার এটি পান করতে পারেন।
কলা: কলাকে বলা হয় প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড। মাঝে মাঝেই যদি অম্বলের সমস্যা হয় তাহলে নিয়মিত একটা করে কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
ডাবের পানি: আপনি যখন ডাবের পানি পান করেন তখন আপনার শরীরের পিএইচ অ্যাসিডিক স্তর ক্ষার বা অ্যালকালিতে পরিণত হয়। যা শরীরেদর মধ্যে প্রবেশ করে অতিরিক্ত অ্যাসিডের উৎপাদন রোধ করে। নারিকেলের পানিতে ফাইবার থাকায় খাবার হজম করতে সাহায্য করে ও গ্যাস্ট্রিক দূর করে।
গুড়: চেষ্টা করুন খাওয়ার শেষে এক টুকরো গুড় খেতে। নিয়মিত গুড়ের শরবত খেতে পারলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে। কারণ এতে আছে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম যা অম্লকে ক্ষারে পরিণত করে।
এইচএন/পিআর