ব্রেকআপ হতে পারে মৃত্যুর কারণ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
শুরু হয়েছে বসন্ত। শীতের আড়মোড়া ভেঙে নতুন করে জেগে ওঠার সময় এখন। এমন দিনগুলোতে সবকিছুই যেন ভালোলাগে। ভালোবাসার ইচ্ছে জাগে প্রেমিক হৃদয়ে। প্রিয় মানুষটির হাতে হাত রেখে কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় বসে মনের দু’টি কথা বলতে আপনার ইচ্ছে হতেই পারে। আবার কারো কারো জন্য এই সময়টা তুমুল মন খারাপের। হয়তো ক’দিন আগেই ব্রেকআপ হয়ে গেছে। দু’জনের পথ দু’টি হয়ে গেছে আলাদা। ভালোবাসার করিডোর জুড়ে আর ভালোবাসার মানুষটির পায়ের ছাপ পাওয়া যাবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ব্রেকআপ বা বিচ্ছেদের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে!
অনেকেই এই হঠাৎ বদলে যাওয়া পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন না। নিজের কষ্টটুকু বর্ণনা করতে না পারার যন্ত্রণা তাদের কুরে কুরে খায়। আবার এমন কিছু মানুষ আছেন যারা অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ। আর এই আবেগপ্রবণতা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয়। এখান থেকেই জন্ম নিতে পারে আচমকা হৃদরোগের সমস্যা। ভালোবাসার সবটুকু নিয়ন্ত্রণই তো হয় হৃদয় দিয়ে। এই সমস্যাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম।
খুব উত্তেজিত হয়ে কথা বলার পর হঠাৎ করেই হতে পারে এই সমস্যা। অনেকক্ষেত্রে বয়স পঞ্চাশের ওপরে, এমন নারীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যায়। এছাড়াও কমবয়সীদের মধ্যেও এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে ইদানিং। এর পেছনে অবশ্যই একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কাজের চাপ। এছাড়াও যেকোনো সম্পর্ক আজকাল কম-বেশি জটিল। সরল-সাদা মনের মানুষ খুব কমই আছেন। তাই সম্পর্কে জড়ানো এবং পরে আবার বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া, এমনটা অনেকে হাসিমুখে মেনে নিলেও, কেউ কেউ আবার একদমই ভেঙে পড়েন। আর এই ভয়টা তাদের ক্ষেত্রেই।
বেশ কিছুদিন ধরে বুকে ব্যথা, পালস রেট বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি হলো এই সমস্যার লক্ষণ। এর কারণে যেমন রক্তচাপ বাড়ে তেমনই হার্ট ব্লকেজের সম্ভাবনাও বাড়ে। তাই ব্রেকআপের কষ্ট গিলে ফেলার চেষ্টা না করে বরং মন খুলে কাঁদুন। সম্ভব হলে কাছের কারো সঙ্গে নিজের সমস্যা ভাগ করে নিন। চেষ্টা করুন স্বাভাবিকভাবে বাঁচার। কারণ এই কষ্ট হতে পারে আপনার মৃত্যুর কারণ!
এইচএন/এমএস